সুনীত হালদার, লিলুয়া: হাওড়ার (Howrah) লিলুয়ায় (Liluah) রাস্তার কুকুরছানা বস্তাবন্দি করে ভাগাড়ে ফেলে আসার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। ভাইরাল ভিডিও (Viral Video) ঘিরে নিন্দার সরব হন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত মহিলার সাফাই, পথ কুকুরের (Dog) অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এই কাজ করেছেন তিনি। স্থানীয় একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সহযোগিতায় মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কুকুরছানাগুলিকে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
রাস্তা থেকে কুকুরছানাদের ধরে ধরে বস্তাবন্দি করছেন এক ব্যক্তি। অন্যদিকে, স্কুটার নিয়ে অপেক্ষা করছেন এক মহিলা।কুকুরছানাগুলিকে বস্তায় ভরার পর বস্তার মুখ দড়ি দিয়ে বাঁধলেন ওই ব্যক্তি। তারপর বস্তা তুলে দিলেন মহিলার স্কুটারে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও ঘিরে উঠল নিন্দার ঝড়। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই অমানবিক ছবি হাওড়ার লিলুয়ার অরবিন্দ নগরের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে ৬টি বাচ্চার জন্ম দেয় একটি পথকুকুর। অভিযোগ, এক প্রতিবেশীর সহযোগিতায় সেই দুধের ছানাগুলোকে বস্তাবন্দি করে হাওড়ার বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ফেলে দিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা শান্তা দাস। লিলুয়ার বাসিন্দা বাপি দাস বলেন, “কুকুরের বাচ্চাগুলোকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাগাড়ে ফেলে এসেছে। অমানবিক ঘটনা।’’ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আরেক বাসিন্দা দীপঙ্কর দে বলেন, “আমরা এই কুকুরগুলোকে লকডাউনের সময় খাওয়াতাম। কিন্তু কুকুরগুলোকে এভাবে ফেলে আসার ঘটনা মেনে নাওয়া যায় না।’’
সোশাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দেখার পর লিলুয়া থানার দ্বারস্থ হয় একটি পশুপ্রেমী সংগঠন। ভাগাড় থেকে কুকুরছানাগুলি উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেওয়া হয় মায়ের কাছে। অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরে করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মহিলার সাফাই, পথ কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়েই এই কাজ করেছেন তিনি। অভিযুক্তের দাবি, “আমার বাড়িতে ঢুকে কুকুরগুলো নোংরা করত। আমার জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছিল। আমি বাধ্য হয়েই কুকুর ছানাগুলোকে ফেলে এসেছি।’’
এর আগে কালীপুজোর রাতে হাওড়ার রামকল্প খাঁ লেনে বেশ কয়েকটি পথ কুকুরকে পেটানোর অভিযোগ ওঠে। বছর দুয়েক আগে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি কুকুর ছানাকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে শহর জুড়ে। অমানবিকতার ছবি ফের ফিরল হাওড়ায়।
আরও পড়ুন: Tripura TMC Attack: ত্রিপুরায় দফায় দফায় আক্রান্ত তৃণমূল, দুষ্কৃতী 'হামলা'য় রক্তাক্ত সাংবাদিক