বাংলাদেশে চলতে থাকা অশান্তি-হিংসার ঘটনা নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতারেস। হিন্দু যুবকের খুন নিয়েও তিনি চিন্তিত। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সেক্রেটারি-জেনারেলের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, "হ্যাঁ, বাংলাদেশে যে হিংসা আমরা দেখেছি তা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত।" বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ নিয়ে সেক্রেটারি জেনারেলের কী প্রতিক্রিয়া, সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে উপরের কথা জানান মুখপাত্র। দুজারিক বলেন, "বাংলাদেশ হোক বা অন্য যে কোনও দেশে, যারা ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ নয় তাদের নিরাপদ অনুভব করা উচিত, এবং সমস্ত বাংলাদেশিরও নিরাপদ বোধ করা উচিত। আমরা নিশ্চিত যে, সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশিকে নিরাপদ রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।" এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক জানিয়েছেন যে, গত বছর বাংলাদেশে বিক্ষোভের নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। গত সপ্তাহে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মারা যান হাদি। এই পরিস্থিতিতে শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন টার্ক এবং সকলে যাতে হিংসা থেকে বিরত থাকেন সেই আর্জিও জানিয়েছেন। টার্ক বলেন, "পাল্টা জবাব এবং প্রতিশোধ কেবল বিভেদকে আরও গভীর করবে এবং সকলের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে তুলবে। যে হামলায় হাদির মৃত্যু হয়েছে তার দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করতে হবে এবং অভিযুক্তদের যথাযথ প্রক্রিয়া ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।"

Continues below advertisement

নৈরাজ্যের বাংলাদেশে উন্মত্ত দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে খুন করেছে ময়মনসিংহের ভালুকার বাসিন্দা দীপুচন্দ্র দাসকে। নারকীয়ভাবে হত্যার পর সবার চোখের সামনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মৃতদেহ। অভিযোগ উঠেছে, গোটা ঘটনাই হয়েছে ভালুকা থানার পুলিশের সামনেই। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন দীপু। ময়মনসিংহের ভালুকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। হাসিনা-বিরোধী ছাত্রনেতা শারিফ ওসমান হাদির খুনের জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশজুড়ে নৈরাজ্য়ের আগুন জ্বলতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, রাত ৯টা নাগাদ বিক্ষোভের মাঝে পড়ে যান দীপু দাস। তাঁকে পিটিয়ে খুন করে দেহে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। নারকীয় এই ঘটনায় দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন নিহত দীপু দাসের স্ত্রী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে অকূলপাথারে দীপু দাসের বাবা-মা, ভাইয়েরাও।

বাংলাদেশে হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে খুন এবং তারপর মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার কলকাতায় মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা।

Continues below advertisement