পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ার-উল-আজিমের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই একজনকে আটক করে সিআইডি। ধৃতের নাম ছিল সাংসদের পরিবারের তরফে দায়ের করা এফআইআরে। নজরে ছিল এক অ্যাপ ক্যাব চালকও। এরপরই তদন্তে উঠে আসে হাড়হিম করা কিছু তথ্য। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মুম্বই থেকে কসাই এনে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে নারকীয়ভাবে খুন করা হয়েছিল আওয়ামি লিগের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিমকে। মুম্বই থেকে কষাই এনে টুকরো করা হয় তাঁর শরীর। বনগাঁ থেকে জুবের ওরফে জিহাদ নামে ওই কষাইকে গ্রেফতার করে সিআইডির। সূত্রের মারফত উঠে আসছে এমন অনেক তথ্য।
নিউটাউনের ফ্ল্যাটেই নারকীয়ভাবে বাংলাদেশের সাংসদকে খুন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাংসদকে খুনের জন্য নাকি মুম্বই থেকে আনা হয়েছিল কষাইকে। তাও বেশ কিছুদিন আগেই। নৃশংস ভাবে খুনের পর পরিচয় লোপাট করার জন্য দেহ থেকে চামড়াও ছাড়িয়ে নেয় আততায়ীরা।
গোয়েন্দাদের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুনের পরে গোটা শরীরের চামড়া ছাড়িয়ে নেয় আততায়ীরা। শরীর থেকে চামড়া ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে মাংস কাটে আততায়ীরা। দেহের মাংস ছাড়াও টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছিল সমস্ত হাড়। এরপরে মাংস, হাড়ের টুকরো প্লাস্টিক ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে যায় আততায়ীরা।
সিআইডির দাবি, প্লাস্টিক প্যাকেটে মাংস, হাড় ভরে ফেলে দেওয়া হয় কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। খুনের পর প্রমাণ লোপাট করার জন্যই মুম্বই থেকে আনা হয়েছিল খুলনার বাসিন্দা কষাইকে। সাংসদকে খুনের জন্য ২ মাস আগে মুম্বই থেকে আনা হয়েছিল তাকে। আওয়ামি লিগের সাংসদ খুনের হাড়হিম করা কাহিনি জানিয়েছে সে-ই।
কেন খুন, কীভাবেই বা খুন? এই প্রশ্নের উত্তরও নাকি খুঁজে পেয়েছে CID। সাংসদ খুনের মাস্টারমাইন্ড ছিল আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি। সে বাংলাদেশি হলেও মার্কিন নাগরিক। আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই আরও ৪ বাংলাদেশিকে সঙ্গী করে সাংসদকে খুন করা হয় বলে সূত্রের দাবি।
দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয় ভাঙড়ে। কিন্তু জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন এত নৃশংসভাবে ঝিনাইদহের সাংসদকে খুন? এখনও রহস্য কাটেনি। ঢাকা পুলিশের হাতে আরও ৩ জন ধরা পড়লেও হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডকে এখনও ধরা যায়নি।
আরও পড়ুন :