পেট্রাপোল : এখনও জেলবন্দি রয়েছেন ISKCON-এর সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তাঁর মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশে পথে নেমেছেন হিন্দুরা। সেখানে তাঁদের নাগাড়ে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। সেদেশে কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। বাংলাদেশে এই পরিস্থিতির আঁচ এসে পড়েছে এপার বাংলাতেও। এদিন জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের দ্রুত মুক্তি ও হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তের কাছে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যোগ দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে একাধিক ইস্যুতে বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি, বিঁধলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।


বিরোধী দলনেতা বললেন, "মুখ্যমন্ত্রী একটু আগে বিধানসভায় বলেছেন, ভারত সরকার পিস-কিপিং ফোর্স রাষ্ট্রসংঘকে দিয়ে পাঠাক। মাননীয়া, ফালাকাটায় দুর্গামণ্ডপে গিয়ে যখন জেহাদিরা বলল, শাঁখ বাজাবেন না, উলুধ্বনি দেবেন না, ঢাক বাজাবেন না..কোথায় ছিল আপনার পুলিশ ? মাননীয়া, গার্ডেনরিচে দুর্গামণ্ডপে ঢুকে বলল, গীতাপাঠ-চণ্ডীপাঠ-মন্ত্রোচ্চারণের মাইক বন্ধ করো, কোথায় ছিল আপনার পুলিশ ? মাননীয়া, হাওড়ার শ্যামপুরে ৫টা দুর্গামূর্তি ভাঙল বিজয়া দশমীতে, কোথায় ছিল আপনার পুলিশ ? কার্তিক পুজোয় বেলডাঙায় সব হিন্দুকে মেরে, মন্দির ভেঙে শেষ করলেন...কোথায় ছিলেন আপনি ? ওপারে ইউনূস যাহা, এপারে মমতা ব্যানার্জি তাহা। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই টিকে থাকার নয়। অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।"


চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে চরম ক্ষোভের আবহেই বাংলাদেশে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর ফলে চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ গ্রেফতারি বেড়ে হয়েছে মোট ৫ জন। এদিকে ভারতে আসার পথে বেনাপোল সীমান্তে আটকে দেওয়া হয় বহু ইসকন ভক্তকে। ভারতে আসতেই দেওয়া হল না ইসকনের সদস্যদের। যা নিয়ে নতুন করে তৈরি হল অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। হাতে রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা। তাও সরকারের 'আপত্তি'। বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ভারতে আসছে ওই ভক্তরা এই সন্দেহে সীমান্তেই ইসকন ভক্তদের আটকে দেয় বাংলাদেশ পুলিশ। সূত্রের খবর, বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে শনিবার বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইসকন ভক্তরা এসে পৌঁছন। কিন্তু সেখানেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভূইয়া বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে বলেন, "আমরা পুলিশের বিশেষ শাখার সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাদের অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছি।"