সুনীত হালদার, সঞ্চয়ন মিত্র, হাওড়া: শেখ হাসিনার (sheikh hasina) ভারত সফর চলাকালীন গঙ্গাপাড়ে পদ্মার ইলিশ। আজ সকালে বাংলাদেশি ইলিশ পৌঁছল হাওড়ার মাছ বাজারে। এই মরশুমে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ সরকার। হাওড়ার ফিশ ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক।


পাইকারি বাজারে বাংলাদেশি ইলিশের দাম পড়বে কিলোপ্রতি ১২০০-১৩০০ টাকা। জোগান বাড়লে খুচরো বাজারে পদ্মার ইলিশের দাম কমবে বলে আশা ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে গত ৩ বছর ধরে দুর্গাপুজোর আগে উপহার হিসেবে আসছে বাংলাদেশের ইলিশ। 


বাংলাদেশের (bangladesh) প্রধানমন্ত্রী (PM) শেখ হাসিনা (sheikh hasina) কালই ভারত-সফরে (india tour) এসেছেন। আর কালই ঘটনাচক্রে পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকল পদ্মার (padma river) ইলিশ। অল্পসল্প নয়, ৪ টন ইলিশ ঢুকেছে পেট্রাপোল (Petrapole) সীমান্ত দিয়ে। আজ সেগুলিই হাওড়া বাজারে এসে পৌঁছয়।


পদ্মানদীর ইলিশ: এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে দুর্গাপুজোর সপ্তমীর মধ্যেই ২ হাজার ৪৫০ টন ইলিংশ বাংলাদেশ থেকে এ দেশ আসবে বলে জানা যাচ্ছে। ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এসে পৌঁছেছে এর মধ্যেই। বাংলাদেশের বাজারে এই রুপোলি শস্যের দাম এখন কেজি প্রতি ২ হাজার টাকা। এতেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, আজ রাতের মধ্যে আরও চার টন ইলিশ এসে পৌঁছতে পারে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময়ই ইলিশ-প্রেমিকদের জন্য সোনার সুযোগ।


জোগান বাড়ছিলই: গত জুলাই থেকেই একটু একটু করে জোগান বাড়ছিল রুপোলি শস্যের। লকডাউনের খরা কাটার পর গত ১৪ জুন থেকে দীঘা মোহনায় মাছের খোঁজে পাড়ি দিয়েছিল কয়েকশো ট্রলার। আশা ছিল এবার হয়তো রুপোলি শস্য়ের দেখা মিলবে। সে সময় আবহাওয়া আশায় জল ঢেলে দিলেও জুলাই মাসের মাঝামাঝি কিছুটা হলেও খরা কাটে। দীঘা মোহনায় একসঙ্গে কয়েক টন ইলিশ নিয়ে ফেরে ট্রলার। সে বার ৫০০ গ্রাম থেকে ২ কিলোগ্রাম ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছিল।


মৎস্যজীবীরা জানান, পুবালি হাওয়া ও ঝিরঝিরও বৃষ্টির জেরেই ট্রলার ভরেছে রুপোলি শস্যে। তাতে ইলিশের দাম একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। সে সময় এক কেজি ওজনের ইলিশ বাজারে মিলছিল ১২০০ টাকা দরে। ওজন বেশি হলে দাম আরও একটু চড়া হচ্ছিল। তবে জোগান আরও বাড়লে এই মরশুমে ইলিশের দাম মধ্যবিত্তের নাগালে চলে আসবে বলে আশা করেছিলেন বিক্রেতারা। এবার রসনাতৃপ্তির জন্য পাতে পড়তে চলেছে পদ্মার ইলিশ। সব ঠিকঠাক চললে রসে-বশে বাঙালির ইলিশ-আহ্লাদের ষোলো কলা পূর্ণ হওয়া আর কিছু দিনের অপেক্ষা, আশা মৎস্যজীবী থেকে বিক্রেতাদের। 


আরও পড়ুন: TMC Protest : ৪৮ ঘণ্টা উঠবেন না, ধর্মতলায় ধর্নায় বসে পড়লেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য