পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধস, হড়পা-বান। ফের প্রকৃতির রুদ্ররূপে লন্ডভন্ড দেবভূমি। ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। আর সেই সব ছবি টিভিতে দেখে উৎকণ্ঠা বাড়ছে বাঁকুড়ার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের একাধিক পরিবারের। স্থানীয় সূত্রে খবর, নবমীর দিন উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়েছেন এই গ্রামের ৭ তরুণ-তরুণী। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বেগে বাবা-মায়েরা। খবরের আশায় দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের।


বাঁকুড়ার আগড়দা পুরুষোত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা সবুজ বরণ মন্ডল, অরণ্য দেব মন্ডল, পুষ্পেন মন্ডল,  বিকাশ রায়, ত্রিপুরারি কুন্ডু, মৃত্যুঞ্জয় পাল ও অন্বেষা সিং পাল হাতে অবসর সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন পাহাড়ে। এই সাত জনের মধ্যে বিকাশ রায় চাইল্ড ডেভলপমেন্ট অফিসার। বাকি ৬ জনই পেশায় শিক্ষক। চলতি বছর পুজোর সময় নবমীর দিন ট্রেকিংয়ের উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের আরও আট জনের পাশাপাশি এই সাত জন বেরিয়ে পড়েন উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশ্যে। মোট পনেরো জন ট্রেকার দলের ট্রেকিং করার কথা ছিল উত্তরাখণ্ডের হারকিদুন থেকে রুইনসারা তাল পর্যন্ত।


আবহাওয়া ভালো থাকায় রবিবার হারকিদুন থেকে রুইনসারা তালের উদ্দেশ্যে ট্রেকিং শুরু করে দলটি। ট্রেকিং শুরুর আগে সকলেই পরিবারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর তাঁদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। গত তিনদিন ধরে কোনও খবর না পেয়ে শেষপর্যন্ত খবর পাওয়ার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিভাবকরা। ট্রেকিং-এ যাওয়া তরুণ-তরুণীদের খোঁজ পেতে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হচ্ছে।


এদিকে, পুজোয় উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচেছেন ১৪ জন বাঙালি পর্যটক। প্রবল বৃষ্টি ও ধসের জেরে তাঁরা আটকে পড়েন। সবাই সুস্থ থাকলেও, কবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।


আরও পড়ুন- উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি-ধস, আটক ১৪ জন বাঙালি পর্যটক


দেখুন ছবিতে- দেবভূমে ফের দুর্যোগ, প্রকৃতির রুদ্ররূপের নিশান উত্তরাখণ্ডজুড়ে