পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পুরসভার (corporation) জল সরবরাহের পাইপ লাইন খুলতেই বেরিয়ে আসছে সাপ ও মাছ, আতঙ্কে এলাকাবাসী। পানীয় জল সরবরাহের পাইপ লাইন থেকে বেরিয়ে আসছে সাপ ও লম্বা লম্বা জিওল মাছ সহ বিভিন্ন ধরনের পোকা মাকড়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়া (bankura) পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কবরডাঙ্গা (kabardanga) এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি শুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের নামে দিনের পর দিন এলাকায় এই দূষিত জল সরবরাহ করছে বাঁকুড়া পুরসভা। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যান বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য গৌতম দাস। এমন ঘটনা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জল সরবরাহের ট্যাপে গত কয়েকদিন ধরে জল আসছিল না। পুরসভায় জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই এলাকার মানুষ নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে জল সরবরাহের পাইপ লাইন খুলে মেরামতের চেষ্টা করেন। আর সেই চেষ্টা শুরু পাইপ লাইন থেকে যা বেরিয়ে আসতে শুরু করে তা দেখে রীতিমত হতবাক বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কবরডাঙ্গা এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, এতদিন তাঁরা পুরসভার সরবরাহ পানীয় জল হিসাবেই এই দূষিত জল খেয়ে আসছিলেন। এদিন পাইপ খুলে মেরামতির কাজ শুরু করতেই বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন। জানা গেছে বাঁকুড়ার দারকেশ্বর নদের মীনাপুর এলাকায় থাকা পুরসভার নিজস্ব পাম্প হাউস থেকে কবরডাঙ্গা এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করে বাঁকুড়া পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি ওই পাইপ লাইনের মধ্যে কীভাবে সাপ ও মাছ ঢুকল তা খতিয়ে দেখা হবে। বাঁকুড়া পুরসভার পুর পরিষেবার হাল নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
গত মাসে এমনই একটি খবর সামনে এসেছিল। মৃত্যু হয়েছে একটি শিশুর (Child Death)। হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৩ জন। পানীয় জল (Drinking Water) নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরুলিয়ার (Purulia) গ্রামে। জল খেয়েই গ্রামবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মনে করছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (Block Health Officer)। গ্রামে বসানো হচ্ছে নতুন টিউবওয়েল।
পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করার, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে আরও ১৩ জন গ্রামবাসীর। কমবেশি সবাই ভুগছেন পেটের সমস্যায়। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ায়। নবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপরপাড়ায় ছড়িয়েছে পেটের রোগ।
মঙ্গলবার রাতে পেটে ব্যাথা ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে, ৬ বছরের শিশুকে হারমাড্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকালে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীদের একাংশ এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের অনুমান, গ্রামের একট নির্দিষ্ট টিউবওয়েলের জল খেয়ে পেটের সমস্যায় ভুগছেন এত মানুষ।