সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: বান্দোয়ান (bandwoan) থানার দুয়ারসিনি মোড়ে মাও নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার। আজ সকালে ঝাড়খণ্ড (jharkhand) লাগোয়া-বাংলা সীমানায় দুয়ারসিনি মোড়ে একটি সরকারি বোর্ডে হিন্দিতে লেখা এই পোষ্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে বান্দোয়ান থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ (police) এসে পোষ্টারগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ২০০৬ সালে এই দুয়ারসিনি মোড়ে নির্মীয়মান বান্দোয়ান পঞ্চায়েত সমিতির গেস্ট হাউসে বিস্ফোরণ করে। হিন্দিতে লেখা এই পোস্টারে রয়েছে নকশাল আন্দোলন কম জোর হচ্ছে, নকশালরা একসঙ্গেই আছে, নকশালরা বাড়ি ছাড়া রয়েছে তাঁদের পরিবারের জন্যে লেভি (টাকা) সংগ্রহ করছি, পরিবার গুলির পাশে থাকার জন্য। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ এই পোষ্টার গুলি ঝাড়খণ্ড থেকে এই এলাকায় কেউ এসে লাগিয়ে গেছে। এই মোড় থেকে মাত্র ৩০০ মিটার। আশেপাশের গ্রাম গুলিও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে। ফলে ঝাড়খন্ডের লোকজন বেশী আসা যাওয়া করে।


উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় এবার পোস্টার বিতর্ক। তৃণমূলের পর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতাদের নামে পড়ল পোস্টার। অমিত শাহ, রাহুল সিন্হা-সহ বিজেপির ৮ নেতার নামে হাবড়া শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টার দেখা যায়। বিজেপি নেতাদের সন্ধান চাই বলে ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই দেখা মিলছে না বিজেপি নেতাদের। সেই কারণেই পোস্টার টাঙিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিজেপির প্রতিক্রিয়া, কাজের জন্য বিজেপি নেতাদেরই প্রয়োজন, তাই খোঁজ করছেন এলাকাবাসী। কিছুদিন আগে বিজেপির সোশাল মিডিয়া গ্রুপে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের নামে সন্ধান চাই বলে পোস্ট করা হয়।


সম্প্রতি গোয়ালতোড়ের পর মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ঈশ্বরপুরে মাওবাদীদের নামে পড়ে পোস্টার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। কে বা কারা পোস্টার দিল তার খোঁজ চালায় পুলিশ।  পোস্টারে লেখা ছিল 'চাকরির লোভ দেখিয়ে মাওবাদীকে কেনা যাবে না।' ওপরে লেখা মাওবাদী জিন্দাবাদ! নীচে শুধু মাওবাদী। 


আরও পড়ুন: রয়েই গেল তৃণমূলের 'নির্দল-কাঁটা', দলের কড়া বার্তার পরও মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন না সচ্চিদানন্দ ও তনিমা