পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: নির্বাচনের আগে প্রচারে বেরিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছেন প্রার্থীরা। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ এবং বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের। প্রচারে বেরিয়ে আগেই জুতো পালিশ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। এবার প্রচারে বেরিয়ে এক ব্যাক্তির মাথায় জল ঢেলে তাঁকে স্নান করিয়ে দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন সুভাষ সরকার। 


বাঁকুড়ায় গত কয়েকদিন ধরে প্রবল তাপপ্রবাহ চলছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪৩ ডিগ্রির মাঝে। বেলা গড়াতেই শুরু হচ্ছে লু-এর প্রভাব। এরই মাঝে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। প্রবল এই গরমে প্রচারে বেরিয়ে এবার নিজে হাতে এক ব্যাক্তিকে স্নান করিয়ে দিলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। 


সুভাষ সরকারের দাবি, এদিন দুপুরে বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের কেরালা গ্রামে হুড খোলা গাড়িতে চড়ে প্রচার চালানোর সময় তিনি দেখেন রাস্তার ধারে গাছের ছায়ায় এক ব্যাক্তি খালি গায়ে বসে রয়েছেন। পাশেই রয়েছে এক বালতি জল। সুভাষ সরকারের দাবি, দেখেই বোঝা যাচ্ছিল ওই ব্যাক্তির স্নানের ইচ্ছে আছে। আর দেরি করেননি সুভাষ সরকার। সটান হুড খোলা গাড়ি থেকে নেমে ওই ব্যাক্তির কাছে পৌঁছান সুভাষ সরকার। 


এবার নিজে হাতে মগ ধরে ওই ব্যাক্তির মাথায় জল ঢেলে দেন তিনি। প্রচারের মাঝে খোদ বিজেপি প্রার্থী এভাবে তাঁকে স্নান করিয়ে দিতে পারেন তা কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি ওই ব্যাক্তি। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি বেশ কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন। সুভাষ সরকার যদিও দাবী করেন এই প্রবল গরমে বারংবার স্নান করে শরীরকে সুস্থ রাখার পরামর্শ ছড়িয়ে দিতেই তাঁর এই উদ্যোগ।  


প্রসঙ্গ জুতো পরিষ্কার


১৪ এপ্রিল বি আর অম্বেদকরের জন্মদিন। তাঁরই স্মরণে এদিন বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা থেকে লালবাজার মোড় পর্যন্ত দলিতদের নিয়ে রোড শো করেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। হুডখোলা গাড়িতে চড়ে প্রচারের মধ্যেই নিজের জুতো পালিশ করলেন সুভাষ সরকার। পয়লা বৈশাখে, বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা থেকে লালবাজার মোড় পর্যন্ত দলিতদের নিয়ে রোড শো করেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। ৫ বছর তো জনগণকে পরিষ্কার করল না। এখন ভোটের মুখে নিজের জুতো পালিশ করে কী হবে? পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী।


সেই সময় সুভাষ সরকার বলেছিলেন, এটা ভীমরাও অম্বেদকরকে সম্মান জানানোর জন্য়। ভীমরাও অম্বেদকর অত্য়ন্ত নিম্ন পরিবারের ছিলেন। সংগ্রাম করে, লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হয়েছেন। ভারতবর্ষকে দিশা নির্দেশ দিয়েছেন। এবং এর সঙ্গে সঙ্গে ওঁর যে দর্শন, সেটা হচ্ছে সমস্ত কাজের মর্যাদা সমান। একজন দক্ষ মুচি, সে একজন দক্ষ ডাক্তারেরও সমান।