পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: তৃণমূল (TMC) নেতাদের গাছে বেঁধে মারধর করে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করে দিন। বাঁকুড়ার জনসভায় কর্মী সমর্থকদের এমনই পরামর্শ দিলেন বিজেপির (BJP) জেলা কমিটির সদস্য। পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। 


বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিকাশ ঘোষ বলেন, 'বাবার নাম ভুলিয়ে দেব আমরা যদি ক্ষমতায় একবার আসতে পারি তো, প্রশাসনও বুঝতে পারবে আর ওই তৃণমূলের চামচাগুলো বুঝতে পারবে।'                                                                


পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেছে। সামনে ২০২৪-এর লোকসভা মহাযুদ্ধ। কিন্তু তার আগে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে কথার যুদ্ধ থামছে না। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য বিকাশ ঘোষ যেমন প্রতিপক্ষ তৃণমূলের নেতাদের পেটানোর হুমকি দিয়ে বিতর্ক বাধিয়েছেন। তিনি বলেন, 'যদি কোনওমতে কোনও তৃণমূলের নেতা হুমকি দেয়, চমকায়, আপনারা পরিষ্কার সেই তৃণমূলের নেতাকে গাছে বেঁধে রেখে আচ্ছা করে উত্তম মধ্যম দিয়ে বাঁকুড়া হসপিটালে ভর্তি করে দেবেন। আমাদের এমএলএ আজ বসে আছেন, সুপারিশ করে দেবেন চিকিৎসার জন্য। তারপর বাড়িতে পৌঁছে দেব।' 


রবিবার বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে পেটানোর হুমকি দেন ওই বিজেপি নেতা। এই নিয়ে বিতর্ক দানা বাধলেও, নিজের অবস্থানে অনড় বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সদস্য বিকাশ ঘোষ।


কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় গতকাল বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার সামনেই এই হুমকি দেন বিজেপি নেতা। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি,  প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।                                                               


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন এবং গত বিধানসভা ভোটের নিরিখে জঙ্গলমহলের জেলা বাঁকুড়ায় ধারে ভারে, শাসকদল তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সামনে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে কী হবে? থামবে হুমকি-হুঁশিয়ারির রাজনীতি? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। 


 


আরও পড়ুন, 'রাজভবনের চিঠির ভিত্তিতে কোনও কাজ নয়', রাজভবনের পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিজ্ঞপ্তি সরকারের