তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া:  কৃষক পরিবারের সন্তান। কৃষি কাজই পারিবারিক পরম্পরা। ছোট থেকেই মাঠে চাষের কাজ করা অভ্যাস। ছোটবেলার অভ্যাসই এখনও ছেড়ে বেরোতে পারেননি বাঁকুড়ার (Bankura) বিধায়ক। সোনামুখীর (Sonamukhi) বিজেপি (BJP) বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এখনও মাঠে নেমেই নিজের হাতে কৃষিকাজ করেন। তাঁর পরিবারের রোজগারের মূল ভিত্তিই চাযের কাজ।


সময় বের করে চাষ:
রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে। রয়েছে বিধায়কের (MLA) নানা দায়িত্বও। সব সামলেও মাঠের কাজের দায়িত্ব সামলে নেন তিনি। সকালের দিকে অবসর সময়ে মাঠে ছোটেন তিনি। কোদাল নিয়ে ক্ষেতের পরিচর্যা করা, ফসন বোনা, ফসল তোলা- সব কাজই করেন তিনি। পরিবারের এই পেশায় সবসময় জড়িয়ে রাখেন নিজেকে। মাটির টানে তিনি ছোটেন মাঠে, দাবি বিধায়কের। সাতসকালেই বাঁকুড়ার সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী নেমে পড়লেন মাঠে। সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের করুমপুরের বাসিন্দা বিজেপির এই বিধায়ক। কৃষি পরিবারের সন্তান, তাই ছোট বেলা থেকেই বাবা-ঠাকুরদার হাত ধরে মাঠে কাজ করার অভ্যেস রয়েছে বলে জানান। বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই রাজনীতি ও বিধানসভার কাজে দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায়। তবুও বাড়িতে থাকলে সকালের অবসর সময়ে মাঠে ছুটে যান বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। ঘণ্টা খানেক মাঠ থেকে সবজি ক্ষেতের পরিচর্যা, গাছে মাটি দেওয়া, মাঠে আগাছা পরিষ্কারের কাজ করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কৃষক পরিবারের সন্তান হয়ে মাটির টান ছোট বেলা থেকেই। সেই অভ্যাসের কারণেই এখন চাষের কাজে হাত না লাগালে মন ভরে না তাঁর। তাই বাড়িতে থাকলে সেই কাজ করার চেষ্টা করেন এমনই জানালেন সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।


তৃণমূলের কটাক্ষ:
যদিও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল (TMC)। তাঁদের দাবি, উন্নয়নের কাজে দেখা যায় না। প্রচারের আলোয় আসতে বিজেপি বিধায়ক এমন কাজ করছেন বলে তাদের দাবি। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, 'এলাকার উন্নয়নের কাজে বিধায়ক কে দেখা যাচ্ছে না। উন্নয়নের কাজ ছেড়ে মাঠে ছবি তুলিয়ে লাইম লাইটে আসতে চাইছে বিজেপি বিধায়ক। তাই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন প্রচারে আসতে।'


আরও পড়ুন: প্রায় ২০০-র উপর টিয়া পাচার করতে গিয়ে বন দফতরের জালে ২ পাচারকারী