মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুরের পানাগড়ে (Durgapur Panagarh) বনদপ্তরের (Forest Department) হাতে ধরা পড়ল দুই পাখি পাচারকারী (Bird Smuggler)। ‌ বৃহস্পতিবার রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গাড়ি করে প্রায় ২০০ টির উপর টিয়া পাখি এবং অন্যান্য পাখি পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে।


দুই দুষ্কৃতী পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) বাসিন্দা বলে জানা গেছে আব্দুল কাদের, মোহাম্মদ ফুলবা। পানাগড় বনদপ্তর এর আধিকারিক সুভাষ পাল জানিয়েছেন আসানসোল থেকে এই পাখিগুলোকে আনা হচ্ছিল বর্ধমানে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। দুই দুষ্কৃতীকে আজ দুর্গাপুর  আদালতে পাঠানো হবে। এর সাথে ওই পাখিগুলোকে  কাঁকসা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে কোর্টের নির্দেশে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চারচাকা গাড়িটিকে। বনদপ্তরের আধিকারিক যেটা জানিয়েছেন এই ধরনের দুষ্কৃতী দের বারবার গ্রেপ্তার করা হলেও এই চক্র বন্ধ করা যাচ্ছে না। যদিও বনদপ্তর তৎপর আছে এই ধরনের দুষ্কৃতিদের চিহ্নিত করে তাদের আইনত শাস্তির ব্যবস্থা করার।


রাজ্য জুড়ে, একের পর এক চোরাকারবারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনও পাখি পাচার, বাঘের চামড়া পাচার, হাতির দাঁত পাচার হওয়ার ঘটনার উদাহরণ বারবার প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি রাজ্যে রেড পান্ডারও চামড়া পাচারের অভিযোগও রাজ্যে ওঠে। বন দফতরের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় পাচারকারীরা। আগস্টের মাঝামাঝিই একটি ঘটনা ঘটে জলপাইগুড়িতে।বন দপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে ওত পেতে বসে ছিল বেলাকবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত সহ বনকর্মীরা। মাটিগারার কাছে, সেখানে একটি নেপাল নম্বরের বাইক দেখে সন্দেহ হয়। বাইকে  তিনজনের কাছে তিনটি স্কুল ব্যাগ দেখতে পেয়ে পিছে ধাওয়া করে। শিলিগুড়ির কাছে পিডবলু মোড়ের কাছে বাইক দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করতেই স্কুল ব্যাগে দেখা যায় দুটি  রেড পান্ডার চামড়া ও একটি চিতা বাঘের চামড়া। সঙ্গে সঙ্গে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।


আরও পড়ুন, 'কে মিডিলম্যান, কে স্ট্রাইকারে খেলছেন, বোঝা শক্ত', মানিক ইস্যুতে কটাক্ষ শমীকের, পাল্টা শান্তনু


বেলাকবা রেঞ্জে নিয়ে এসে জেরা করা হলে জানা যায়, রেড পান্ডার চামড়া ও চিতা বাঘের চামড়া গুলি নেপাল থেকে ভুটান পাচারের  উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃত তিন জনের নাম চন্দ্র প্রসাদ চামজিং, গবিন্দ সুনবা লিম্বু এবং ইকপু শেরপা। সকলে নেপালের বাসিন্দা। সকলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগেও বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বন দফতর । উদ্ধার করা হয়েছিল চিতা বাঘের চামড়া। গ্রেফতারও করা হয় দুই অভিযুক্তকে।পাচার করার পরিকল্পনা ছিল উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘের চামড়াগুলি। কিন্তু বনকর্মীদের তৎপরতায় পাচার হওয়ার আগেই উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম পাসাং লামা ও সিরিং তামাং। তারা দু'জনেই দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল আগেই। তাতেই তৎপর হয় বনকর্মীরা।