পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: সাতসকালে হাতির হানা সারেঙ্গায়। রায়পুরের ধানাড়া থেকে কংসাবতী নদী পেরিয়ে ভোর নাগাদ ওই এলাকায় প্রবেশ করে হাতির দল।


গোটা দলে ২টি শাবক-সহ মোট পাঁচটি হাতি রয়েছে। হাতিগুলি রায়পুর এলাকা থেকে ভোর নাগাদ সারেঙ্গা রেঞ্জ এলাকায় প্রবেশ করে। এলাকায় হাতি আসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভিড় জমতে শুরু করে এলাকায়। হাতি দেখার জন্য ভিড় জমার মাঝেই ওই এলাকায় পৌঁছয় সারেঙ্গা থানার পুলিশ। খবর পেয়ে পৌঁছয় বন দফতরের কর্মীরাও। এলাকায় পৌঁছয় হাতি তাড়ানোর দলও। 


ছাতালি গ্রামের মাঝে একটি ঝোপের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আশ্রয় নেয় হাতির দল। সেখান থেকে হাতির দলকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হুলা পার্টির সদস্যরা। সেই সময় হাতির হানায় জখম হন এক হুলা পার্টির সদস্য। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সারেঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এলাকায় বাড়িতেও হামলা চালায় হাতির দল। হাতির হানায় ভেঙেছে একটি বাড়ির একাংশ। এরপর হুলা পার্টির তাড়া খেয়ে হাতির দল এদিক ওদিক করতে থাকে বেশ কয়েক ঘণ্টা। কখনো ছাতালি, কখনো রঘুডাঙা,কখনো বাঁদরশোল, বিক্রমপুর স্কুল মোড়ে ঘোরাফেরা করেছে ওই হাতির দল। ভিড় সামলানোর জন্য প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ।


আরও পড়ুন: 'আপনার ঘৃণার কর্মসূচিতে কেউ আগ্রহী নয়,অন্য কোথাও গিয়ে বিষ ছড়ান', শাহকে আক্রমণ তৃণমূলের