পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বৃষ্টিতে ভাসছে বাঁকুড়া। রাতভর বৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমের এই জেলায়। আর সেই কারণেই জলে ভাসল বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদী। তার জেসে ভেসে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদীর উপরে থাকা মানকানালি সেতুও (Bridge)। তার মধ্যেই বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত।   


সেতুর উপরে জল:
বুধবার রাতের বৃষ্টির জেরেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া (Bankura) থেকে মানকানালি গ্রামে যাওয়ার রাস্তা উপর থাকা গন্ধেশ্বরী নদীর সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকে। সেই জল পেরিয়েই চলছে যাতায়াত, যাচ্ছে বাইকও।  


ভারী বৃষ্টিপাতের জের:
গতকাল রাতভর ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হয় বাঁকুড়া জেলায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৯৫.৬ মিলিমিটার। আর সেই কারণেই বুধবার রাত থেকেই জলস্তর (Water Level) বাড়তে থাকে বাঁকুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীতে। জলস্তর বেড়েছে  দারকেশ্বর-সহ বাকি নদীতেও। এর মধ্যে সর্বাধিক জলস্তর বৃদ্ধি হয়েছে গন্ধেশ্বরী নদীতে। বৃহস্পতিবার সকালে গন্ধেশ্বরী নদীর জলস্তর এতটাই বৃদ্ধি পায় যে মানকানালি গ্রামের কাছে গন্ধেশ্বরী নদীর সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেতুর উপর দিয়ে বইতে থাকা জলের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুব সমস্যায় পড়েন নদীর পাড়ে থাকা মানকানালি, উখড়াডিহি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। অতি প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেককেই জলে ডুবে থাকা সেতু দিয়ে পারাপার করতে দেখা যায়। স্থানীয়দের দাবি, সেতুর উচ্চতা কম থাকায় ভারী বৃষ্টি হলেই ওই সেতু জলের তলায় চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ওই সেতু উঁচু করে তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


আরও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আরও বিপদের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক দিনের বৃষ্টিতেই যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাতে চিন্তা আরও বেড়েছে। 


বাঁকুড়ায় (Bankura) আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা গতকালের থেকে ১ ডিগ্রি কম।  দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে সর্বাধিক ৪১ শতাংশ, ন্যূনতম ১৭ শতাংশ। কিছুটা বেড়েছে আর্দ্রতার পরিমাণও। 


আরও পড়ুন: ব্রিটিশরা দেশ ছাড়লেই সাদা পাঁঠা! ৯৪ বছরে পড়ল সেই পুজো