প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: তছনছ ঘর, বিছানা লণ্ডভণ্ড। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে জামাকাপড়। খোলা আলমারি, সেখান থেকে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে চলে গেল চোরের দল। ছবিটা কোনও একটা ঘরের নয়। কেউ না থাকার সুযোগে পরপর চারটি বাড়ির এক অবস্থা করল চোরেরা। বাঁকুড়ার ঘটনা। বজ্রআঁটুনি নিরাপত্তার ঘেরাটোপ। তারপরেও পরপর চারটি বাড়িতে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।


গতকাল রাতে বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসনে ঘটনাটি ঘটেছে। পরপর দুঃসাহসিক চুরিতে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিন চারটি আবাসনে পরপর চুরির পর চম্পট দেল চোরের দল। ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসন সবদিক থেকে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মোড়া। গোটা আবাসন উঁচু পাঁচিল দিয়ে শুধু ঘেরা রয়েছে। শুধু তাই নয়, আবাসনের মূল ফটকে ২৪ ঘন্টা নজরদারির দায়িত্বে থাকেন মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে আবাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই চারটি আবাসনই ফাঁকা ছিল। মালিকরা ভিন্ন ভিন্ন কাজের কারণে ছিলেন না সেখানে। আর সেই ফাঁকেই ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু এত নিরাপত্তার পরও গতকাল রাতে আবাসনের চার কর্মীর ঘরে পরপর চুরির ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রশ্নও উঠছে একাধিক। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে কীভাবে চোর ঢুকে পড়ল আবাসনে? কোথায় ছিলেন তাঁরা? ফাঁকা ফ্ল্যাটের খবরই বা চোরেদের কাছে কীভাবে পৌঁছল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।                                                                            


আজ দুপুরে বাড়িতে ফিরে চুরির ঘটনা জানতে পারে চারটি পরিবার। তারপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। গোটা ঘটনায় মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভিজাত আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবাসনে সিসিটিভি রয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে চোরদের খোঁজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Bharat Jodo Nyay Yatra: রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' নিয়ে ধোঁয়াশায় জেলা কংগ্রেস, নিশানা TMC-BJP-র