পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: জলে ডুবে থাকা সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গেল ট্রাক্টর। আজ সকালে ঘটনাটি  ঘটেছে বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম লাগোয়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় (Accident) ওই ট্রাক্টরে চালক সহ ৬ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টর ছেড়ে সাঁতার কেটে পাড়ে উঠে আসেন চালক-সহ যাত্রীরা। 


ভেসে গেল যাত্রীবাহী ট্রাক্টর


স্থানীয় ভাবে জানা গেছে মেজিয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদরের শাখা নদী। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জেলার অন্যান্য নদীর পাশাপাশি এই শাখা নদীতেও জলস্তর বৃদ্ধি পায়। নদীর উপর থাকা নিচু  সেতুর উপর দিয়ে বেগে বইতে শুরু করে জল। আজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই জল পেরিয়েই ট্রাক্টর নিয়ে রামচন্দ্রপুর থেকে মেজিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন চালক। ইঞ্জিনের দুপাশের সিটে ও পিছনের ট্রলিতে বসে ছিলেন আরও পাঁচ জন শ্রমিক।


সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন যাত্রীরা


সেতু দিয়ে পেরোনোর সময় আচমকাই জলের তোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক ও যাত্রী সহ ট্রাক্টরটি সেতু থেকে নিচের দিকে নেমে যায়। চালক ও যাত্রীরা প্রত্যেকেই সাঁতার জানায় কোনোক্রমে সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন তাঁরা। এলাকার মানুষের দাবী এবার পারাপারকারীরা প্রাণে বাঁচলেও সেতু নীচু হওয়ার কারনে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে ওই সেতুতে। অবিলম্বে ওই স্থানে উঁচু সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 


মানকানালি গ্রামে ডুবল গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু


টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রামে ডুবল গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু। সমস্যায়  অন্তত ৩০-৩৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁকুড়া থেকে রানিগঞ্জ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা গন্ধেশ্বরীর ওপরের এই সেতু। সকাল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবে যাওয়া সেতু দিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা
বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ, বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ১ নম্বর ব্লকের মীনাপুরের কজওয়ের ওপর দিয়ে বইছে দ্বারকেশ্বরের জল আশঙ্কায় ৪-৫টি গ্রামের বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রায় দেড় মাস পার, বিশ্ববিদ্যালয়ে এল সিসি ক্যামেরা


অজয়ের জল বেড়ে ভাঙল পশ্চিম বর্ধমানের সেতু


নিম্নচাপের বৃষ্টিতে অজয়ের জল বেড়ে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার শিবপুরে ভাঙল সেতু। জলের তোড়ে মাঝ নদীতে আটকে যায় পাথর বোঝাই ডাম্পার। কোনওরকমে লাফিয়ে প্রাণ বাঁচান চালক ও খালাসি। সেতু ভেঙে যাওয়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের বাসিন্দারা।