পার্থপ্রতিম ঘোষ ও পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : মাওবাদী আতঙ্কে জঙ্গলমহলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট (High Alert)। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানালেন রানিবাঁধের (Ranibandh) তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি। জঙ্গলমহলের কয়েকজন শাসক নেতা একই আর্জি জানিয়েছেন। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
মাওবাদী নাশকতার আশঙ্কায় জঙ্গলমহলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে নাকা তল্লাশির পাশাপাশি, অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গভীর জঙ্গলে টহল দিচ্ছে স্ট্র্যাকো বাহিনী। তৈরি রাখা হয়েছে অ্যান্টি ল্যান্ডমাইন ভেহিকল।
আরও পড়ুন ; জঙ্গলমহলে মাওবাদী আতঙ্ক, ৫টি থানাকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ
এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানালেন খোদ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। সূত্রের খবর, শুধু রানিবাঁধের তৃণমূল সভাপতি নন, বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা পুলিশের কাছে একই আর্জি জানিয়েছেন।
রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চিত্ত মাহোতো বলেন, আমার এলাকা জঙ্গলমহল, যেসব জায়গায় যাই সেগুলি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা। আমার কাছে খবর আছে আনাগোনা শুরু হয়েছে। আমি আবেদন করেছি সশস্ত্র রক্ষী দেওয়া হোক।
৮ এপ্রিল মাওবাদীদের ডাকা বন্ধে ভাল প্রভাব পড়ে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সীমানা ঘেঁষা, বাঁকুড়ার রাইপুর, রানিবাঁধ ও সারেঙ্গায়। তারপরই, বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতারা নিরাপত্তা চাওয়ায়, কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল।
বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, তৃণমূল নেতাদের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। এলাকায় এলাকায় মাওবাদী পোস্টার পড়ছে। তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। তার জন্য ভয় পাচ্ছে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ থাকলে মানুষই আশ্রয় দেবে। মানুষই শেল্টার দেবে, সিকিউরিট দেবে মানুষ।
ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় সীমানা লাগোয়া জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।