তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: দুপুরে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে চোখে দেখার আগেই মৃত্যু হল মায়ের। আর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই তেতে উঠল বিষ্ণুপুর (District News)। সেখানে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। মৃতার পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। যদিও মাথা ঘুরে পড়ে গিয়ে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি হাসপাতালের। 


গত ৭ এপ্রিল বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন


বাঁকুড়া (Bankura News) জেলার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ঘটনা। মৃতার নাম তুলি দাস বাউড়ি।  বিষ্ণুপুর শহরের  ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মটুকগঞ্জের বাসিন্দা তিনি। প্রসব বেদনা নিয়ে গত ৭ এপ্রিল বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। তার পর থেকে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালেই। শেষ মেশ মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ পুত্রসন্তান প্রসব করেন তুলি। তাঁর পরিবারের দাবি, মা এবং শিশু সুস্থ বলেই গতকাল জানানো হয়। 


কিন্তু সন্ধে গড়াতেই মৃত্যু হয় প্রসূতির। নার্সের গাফিলতিতে শয্যা থেকে পড়ে  ওই প্রসূতি যান বলে দাবি পরিবারের। তাঁরা জানিয়েছেন, নার্সদের গাফিলতিতেই শয্যা থেকে পড়ে যান ওই প্রসূতি। তাতেই বিপদ ঘটে যায়। ছেলের মুখ দেখার আগেই বেঘোরে মৃত্যু হয় তাঁর। 


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘শুধু লড়তে নয়, জিততে যাব’, বলেছিলেন অভিষেক, জাতীয় স্বীকৃতি চলে যাওয়ায় প্রশ্নের মুখে তাঁর নেতৃত্ব


যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালের নার্সিং ইনচার্জ। তাঁর দাবি, আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই প্রসূতি। তার জেরেই মৃত্যু হয়। এ নিয়ে হাসপাতালর কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার এবং পরিজনরা। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। 


হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবার এবং পরিজনরা


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি যদিও। তবে গাফিলতির তত্ত্বও খারিজ করে দেন তাঁরা। কিন্তু তার জেরে বিক্ষোভ থেকে পিছু হটেননি মৃতার পরিবার-পরিজনরা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। গতকাল রাত পর্যন্ত বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।