পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ফের বিপদে বন্যপ্রাণ। ফের মৃত্যু হাতির (elephant death)। ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার (bankura) সদর থানা এলাকা। ওই এলাকার অন্তর্গত বেলবনী চুয়াগাড়া এলাকা। শনিবার সকালে সেখানেই একটি স্কুলের পিছনের মাঠে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম হাতির দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। 
হাতি মৃত্যুর খবর পেয়েই সেখানে আসেন বনদফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। দেহটি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যেখানে দেহটি পড়েছিল সেটি একটি চাষের জমি। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট (electrocution) হয়ে পূর্ণবয়স্ক হাতিটির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছুদিন আগে এই এলাকার কাছে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে ফের আর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তায় বনদফতর। বন দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়া রেঞ্জে ৬৩টি হাতি রয়েছে।


গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জঙ্গলে খাবারের পরিমাণ কমে এসেছে। জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে লোকালয়ে বা চাষের জমিতে এসে ঢুকছে হাতি। ফসল নষ্ট করছে বলে চাষিদের অভিযোগ। স্থানীয় চাষিদের একাংশের দাবি, প্রায়শই ফসল নষ্ট হওয়ায় কয়েকজন বাধ্য হয়ে চাষের জমি বিদ্যুতবাহী তার দিয়ে ঘিরে রাখছে। সেই কারণেই এমন ঘটনা কিনা সেই প্রশ্নই উস্কে দিয়েছেন কেউ কেউ।


বেলাতোড়ের রেঞ্জ অফিসার মহিবুল ইসলাম বলেন, 'যে হাতিটি মারা গিয়েছে, সেটি পুরুষ হাতি। মৃ্ত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে পোস্টমর্টেম করা হবে হাতিটির। এলাকায় বিদ্যুতের তার দিয়ে জমি ঘিরে রাখার কিছু কিছু অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'


সপ্তাহখানেক আগেই ওই এলাকায় একটি হাতির দেহ পাওয়া গিয়েছিল। শনিবার সকালে যেখানে হাতির দেহ পাওয়া যায়, তার থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরেই মিলেছিল ওই দেহ। সেবারও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করেছিলেন বনদফতরের কর্মীদের একাংশ।  


আরও পড়ুন: সবজি নিয়ে বাজারে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ কৃষক, উত্তেজনা বাঘমুণ্ডিতে