পূর্ণেন্দু সিংহ,বাঁকুড়া: খোলা আকাশের নিচে, রাইপুর ব্লকের শালডাঙ্গা মোড় আদিবাসী পাড়ার আইসিডিএস কেন্দ্র। নেই কোনও তাঁদের নিজস্ব স্কুল বাড়ি বা রান্নার জায়গা। রান্নাও করতে হয় খোলা আকাশের নিচে। এদিকে প্রশাসনকে জানিয়ে এখনও জোটেনি কোনও আইসিডিএস কেন্দ্রের বাড়ি। তাই বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে রান্না ও ছোট ছোট শিশুদের খোলা আকাশের নিচে পঠনপাঠন করাতে হয় বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে রায়পুর ব্লকের এই আইসিডিএস সেন্টারটি শুরু হয়েছিল গাছ তলায় সেই সময় থেকেই একইভাবে খোলা আকাশের নিচেই চলছে পঠনপাঠন থেকে রান্নাবান্না। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসনের কাছে বারবার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু হলেও কোন সুরাহা হয়নি। এলাকা স্থানীয় বিধায়ক তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তাঁকেও বারবার বিষয়টি জানিয়েছেন। কোনও লাভ হয়নি। গ্রামের আইসিডিএস সেন্টারটি যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই রয়ে গিয়েছে। এখন গ্রামবাসীরা আশায় রয়েছেন তাঁদের কখন ছাদের তলায় রান্না হবে বা পঠন-পাঠন হবে সেদিকেই তাঁকিয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে আবার স্কুল থাকলেও আরেক বিপত্তি। হুগলির জিরাটের চরখয়রামারি প্রাইমারি স্কুলের একেবারে দোরগোরায় এসে গিয়েছে গঙ্গা। গতবছর সংবাদমাধ্যমে স্কুলের এই ভয়ঙ্কর অবস্থা জানার পর স্বতঃপ্রণোদিত মামলার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। আদালতের নির্দেশ মতো হাজির হয়েছিলেন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান শিল্পা নন্দী, স্কুল পরিদর্শক তপনকুমার বসু ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সুচন্দ্রা রায়-সহ অন্যরা। এদিন প্রশাসনের তরফে আদালতে বলা হয়, যতটা দেখানো হয় স্কুলের অবস্থা ততটাও খারাপ নয়। যেদিকে গঙ্গার ভাঙন হচ্ছে সেদিকে স্কুলের কোনও কাজই হয় না। ওটা স্কুলের পিছনের দিক।
আরও পড়ুন, কলকাতায় SFI আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিবাদ, পথ অবরোধ বাঁকুড়ায়
বাইশ সালের মাঝামাঝি, আরও জানানো হয়, ইতিমধ্যে স্কুল প্রকল্পে ১১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা অনুমোদন হয়েছে। নতুন ভবন তৈরির জন্য জায়গাও দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হচ্ছে। এরপর বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এতদিন কি স্কুল বন্ধ থাকবে? এরপর বিচারপতি স্কুল সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিচারপতি নির্দেশ দেন, স্কুল ওখানে চলতে দেওয়া যাবে না। দরকারে চার চালা করে ক্লাস করান। পাশাপাশি তিনি বলেন, নদীর পাড়ে স্কুলের পুরনো ভবনে মিড ডে মিলের রান্না হবে।