পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ৬ বছর আগে শিলান্যাস হয়েছে। অথচ বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দায় দ্বারকেশ্বরের ওপর আজও তৈরি হয়নি সেতু। অর্ধসমাপ্ত সেতু নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ককে নিশানা করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক। প্রাক্তন বিধায়ক দায় চাপিয়েছেন সেচ দফতরের ঘাড়ে।


দ্বারকেশ্বরের সেতু-দ্বন্দ্ব: বাঁকুড়ার ওন্দায় দ্বারকেশ্বরের ওপর সেতু তৈরি নিয়ে বিজেপি বিধায়কের নিশানায় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। ২০১৬-র শেষে, দ্বারকেশ্বরের ওপর এই সেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তারপর দ্বারকেশ্বর দিয়ে বিস্তর জল বয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেতু তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ৬ বছরেও সেতু তৈরি না হওয়ায়, সমস্যায় পড়ছেন আশেপাশের প্রায় ৬০-৭০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। ওই এলাকার এক টোটো চালক সঞ্জয় গড়াই বলেন, “১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ। সব মেরে নিচ্ছে। নেতা-মন্ত্রীদের দোষ। সবাই মিলে স্টাফেরা ভাগ করছে।’’

শনিবার দলীয় সভা থেকে এই সেতু নির্মাণ নিয়েই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ককে কড়া আক্রমণ করেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা । তিনি বলেন, “চাবড়ার যে ঘাট সেই ব্রিজ এখনও পর্যন্ত বামফ্রন্টের ৩৪ বছর আর তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ বছরেও হল না কেন, অরূপ খাঁ জবাব দাও। কারণ, অরূপবাবু এবারে যে কনট্রাক্টর এসেছিল, তার রডগুলো চিবিয়ে খেয়ে নিয়েছে।’’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই সেতু তৈরি নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর । সেতু নির্মাণে ঢিলেমি নিয়ে ঠিকাদার সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে সেচ দফতর। তাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে ধীর গতিতে কাজ করছে ঠিকাদার সংস্থা। সেই কারণেই দেরি হচ্ছে।


এদিকে কোচবিহারের (Coochbehar) ভবানীগঞ্জ বাজারের একাংশকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করল পুরসভা। সংস্কারের প্রতিশ্রুতি না মেলায়, দিশাহারা ব্যবসায়ীরা। বাড়ছে আতঙ্ক। যখন-তখন খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে পড়েছে কংক্রিটের খাঁচা। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে চাঙড়। পুরসভা পরিচালিত বাজারের এই এলাকা হেরিটেজ তালিকাভুক্ত। তবে বাজারের বাড়িগুলি খুব একটা পুরনো নয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মেরামতির অভাবে মাঝেমধ্যেই চাঙড় খসে দুর্ঘটনা ঘটে। সংস্কারের দাবিতে একাধিকবার ক্ষোভ-বিক্ষোভ-আন্দোলন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার বাজারের একাংশকে বিপজ্জনক বলে নোটিস টাঙাল তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভা। অথচ সেই বিপদ মাথায় নিয়েই চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী চন্দন শীল বলেন, “আতঙ্কে আছি। যেখানে কাউন্টার তার ওপরেই ভাঙা। রিপেয়ার না করে বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে গেছে।’’


আরও পড়ুন: Walking Tips: হেঁটে-দৌড়ে ঝরাতে চান অতিরিক্ত মেদ? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো