পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: 'টাকার বিনিময়ে প্রার্থী, পঞ্চায়েত আধিকারিক ও প্রধানরা লুঠ করছে পঞ্চায়েত', বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির। 'উনি টিকিট পাবেন না, তাই এসব বলছেন', দাবি করেছেন তৃণমূল সভাপতি (TMC Leader)। এই ঘটনায় নিশানা করেছে পাল্টা গেরুয়া শিবির (BJP)।


টাকার বিনিময়ে প্রার্থী ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওন্দায় সভার আগেই দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনে দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন  তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়ার ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা নিয়ে প্রার্থী ঠিক করছেন, ওন্দা ব্লকের অঞ্চল সভাপতিরা। ওন্দা ব্লকের পঞ্চায়েতগুলিতে পঞ্চায়েত আধিকারিক ও প্রধানরা পঞ্চায়েতে লুঠ করেছে।  পঞ্চায়েত আধিকারিকরা ৭৫ ভাগ ও প্রধানরা ২৫ ভাগ, এই অনুপাতে লুঠ চলছে। এমন মারাত্মক অভিযোগ তুলে সব তথ্য তারা কাছে আছে বলেই দাবি করেছেন তিনি।


'আসল সত্যিটাই বেরিয়ে এসেছে', দাবি বিজেপির


 পাশাপাশি জেলার কোন নেতা টাকার বিনিময়ে চাকরি ও সরকারি সুযোগ পাইয়ে দিয়েছেন। টাকার বিনিময়ে সেই অভিযোগও তুলেছেন বলে এরও তথ্য আছে তার কাছে, দাবি করেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। 'টিকিট উনি পাবেন না, তাই হয়ত এমন কথা বলছেন', দাবি ওন্দা ব্লক তৃণমূল সভাপতির।এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই 'আসল সত্যিটাই বেরিয়ে এসেছে', দাবি বিজেপির। 


যোগ্যরাই টিকিট পাবে


প্রসঙ্গত, রাজ্যে টাকার বদলে প্রার্থী নিয়ে অভিযোগ এই প্রথমবার নয়। একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও এমন দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছিল। টিকিট নিয়ে এর আগে দলকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  পঞ্চায়েত নির্বাচনে যোগ্যরাই টিকিট পাবে একথা তিনি কোচবিহারের সভায় গিয়ে ইতিমধ্যেই বলেছিলেন।  কোচবিহারে গিয়ে তিনি বলেন,' ২০২১-এ তৃণমূলে আসনসংখ্যা ২০০ পেরোবে বলেছিলাম। ফল বেরোলে দেখা গেল, ২০১৬ সালের রেকর্ড ভেঙে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। গ্রামের মানুষ যাঁকে সমর্থন করবেন,  যিনি যোগ্যতম বলে বিবেচিত হবেন, আগামী দিনে তিনিই প্রার্থী। কারও ছত্রছায়ায় থেকে, বোতল, ব্যাগ বয়ে প্রার্থী হতে পারবেন না পঞ্চায়েত নির্বাচনে। আজকের এই সমাবেশ রাজনৈতিক পালাবদলের সমাবেশ।'


আরও পড়ুন, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের স্ত্রীকে তলব ইডির


আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের নেতা-কর্মীদেরও লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন অভিষেক। তিনি বলেন,'যে নেতা-কর্মীরা রয়েছেন সভামঞ্চে যাঁরা রয়েছেন,বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করুন। মানুষ তৃণমূলকে চান। কয়েকটা মানুষের কুকর্ম,অপকর্মের জন্য মুখ ফিরিয়েছেন। দলের জন্য মানুষের কাছে মাথানত করতে প্রস্তুত আমি। বাংলার সম্মানের জন্য় মাথানত করব। কিন্তু দু'চারজনের জন্য দলের মাথা নত হলে,আমি ছেড়ে কথা বলব না,সে যতই দাদার ছত্রছায়ায় থাকুন না কেন।'