পূর্ণেন্দু সিংহ,বাঁকুড়া: স্কুল আছে, আছে ছাত্রছাত্রী কিন্তু শিক্ষকের অভাবে বন্ধ স্কুল। আবার কখন খুলবে স্কুল চালু হবে ক্লাস সেই অপেক্ষায় ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা। ২০১৫ সালে ওন্দা ব্লকের অঙ্গদপুর জুনিয়ার স্কুলের পথচলা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির পর আর খুলল না স্কুলের তালা। শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল প্রত্যন্ত গ্রামের জুনিয়ার স্কুল। আপাতত পার্শ্ববর্তী দুরের স্কুল ভরসা ছাত্রছাত্রীদের। এখনও অপেক্ষায় গ্রামের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা কখন খুলবে স্কুল, চালু হবে স্কুলের পঠন পাঠন। গেস্ট টিচার না পাওয়ার জন্য খোলা যাচ্ছে না স্কুল সাফাই স্কুল শিক্ষা দফতরের।
ওন্দা ব্লকের অঙ্গদপুর গ্রামে ২০১৫ সালে গড়ে উঠেছিল জুনিয়ার হাই স্কুল। তিন জন গেস্ট টিচার ও প্রায় ৭০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে শুরু হয় স্কুলের পঠন পাঠন। প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে দূরের স্কুলে যাতে পড়তে যেতে না হয় এবং গ্রামে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটাতে এই জুনিয়ার স্কুলের পরিকাঠামো তৈরি করে শুরু হয় পঠন পাঠন। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির পর একেবারেই হোঁচট খেল প্রত্যন্ত গ্রামের এই স্কুল। গেস্ট টিচারদের অবসরের পর তালা পড়ে গেল স্কুলের দরজায়। শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল স্কুলের পঠন পাঠন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এই স্কুল ছেড়ে ভর্তি হল গ্রামে থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে অন্য স্কুলে। তবুও গ্রামের স্কুল খোলার অপেক্ষায় রয়েছে গ্রামের ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন, 'আমি বাড়ি থাকলে মুড়ি খাওয়াতাম', এসএসসি মামলায় ইডি অভিযান নিয়ে প্রতিক্রিয়া পরেশের
গেস্ট টিচারদের অবসর নেওয়ার পর নতুন করে গেস্ট টিচার পাওয়া যায়নি সেই কারনে স্কুলটি বন্ধ হয়ে রয়েছে। গেস্ট টিচার পাওয়া গেলে চালু করা যাবে স্কুল। রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে দাবি বাঁকুড়া জেলা উচ্চ শিক্ষা দফতরের। যদিও এই রাজ্যেই আবার স্কুলে শিক্ষকের অভাব ঘটায়, গ্রামবাসীদের এগিয়ে আসার উদাহরণও রয়েছে। বিনা বেতনেই শিক্ষাদানের উদাহরণ রয়েছে এই বাংলাতেই। তবে শিক্ষকের অভাবে স্কুল বন্ধ হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। তবে এই ঘটনায় বারবার প্রভাবিত হয় ছাত্রছাত্রীরাই। বিশেষ করে কোভিডের জেরে একটানা স্কুল বন্ধ ছিল। টানা অনলাইন ক্লাসে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে স্কুল ছুট অনেকেই। এবার যাতে ফের সেই পরিণতি না হয় বাঁকুড়ায়, তাই প্রহর গুণছে ছাত্রছাত্রী-সহ অভিভাবকরা।