অভিজিৎ চৌধুরী, মালদহ: নির্মীয়মাণ ভবনের সিঁড়ির নিচ থেকে রক্তাক্ত দেহ (body) উদ্ধার টোটো চালকের (toto driver)। মালদহ (malda) শহরের ঘোড়াপির এলাকার ঘটনা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ওই টোটোচালককে। 


রহস্যমৃত্যু ঘিরে...


ঘড়িতে তখন সকাল আটটা। স্থানীয়দের কয়েক জনের নজরে আসে একটি রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশে খবরও দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরে জানা যায়, মৃতের নাম সমীর রায়। বয়স তিরিশ বছর। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াপরি লেক গার্ডেন এলাকারই বাসিন্দা তিনি। সমীরের ভাই অমিতের দাবি, দাদা গত রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর আর ফেরেননি। এদিন সকালে নির্মীয়মাণ ভবনের সিঁড়ির নিচ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে যুবককে। কিন্তু যদি এমন হয়েও থাকে, তার কারণ কী? উত্তর এখনও জানা নেই। স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী সন্তোষ কর্মকার জানান, কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। 


পর পর রহস্যমৃত্যু...


গত মাসেও এক সিভিক ভলান্টিয়ারের রহস্যমৃত্য়ু ঘিরে শিরোনামে এসেছিল মালদহ। বৈষ্ণবনগর থানার বেদরাবাদ এলাকায় একটি পাটখেতে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা দ্রুত পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ তার পর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা খবর, মৃত ওই যুবকের নাম বচ্চন মণ্ডল। বৈষ্ণবনগর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন তিনি। মৃতের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। 


মাসখানেক পরই আবার আর এক রহস্যমৃত্যু। কী করছে প্রশাসন? প্রশ্ন উঠছেই।


আরও পড়ুন:রান্নাঘরে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে বিপত্তি, বিষ্ণুপুরে নার্সিংহোমে আগুন