রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: লোকালয়ে হাতির দলের তাণ্ডব (Elephants in Jalpaiguri)। ক্ষতিগ্রস্ত চারটি বাড়ি। পালিয়ে বাঁচলেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের সাকোয়োঝোড়া ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মল্লিকশোভা এলাকায়।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  গতকাল গভীর রাতে শাবক-সহ ১০-১২ টি হাতির একটি দল ঢুকে পড়ে মল্লিকশোভা এলাকায়। আচমকাই হাতির দলটি হামলা চালায় আজিবুল হকের বাড়িতে। এদিকে সে সময় তিন সন্তান-সহ বাড়ির সাতজন সদস্য ঘুমিয়ে ছিলেন। হাতির হামলা থেকে বাঁচার জন্য তারা সেখান থেকে কোনও মতে আশ্রয় নেন পাশের বাড়ির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে। এসময় তিনটি হাতি তাদের পিছু নেয় বলে তাঁদের দাবি।এরপর হাতির দলটি পঞ্চায়েত সদস্য জবেদুল ইসলামের বাড়িতেও হামলা চালায়। একে একে চারটি বাড়ি ভেঙে তছনছ করে দেয় হাতির দল। সেই সঙ্গে  ঘরে মজুত খাবার সাবার করে হাতির দলটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বনদপ্তরকে খবর দেওয়া হল বনদপ্তরের কর্মীরা আসেননি। স্বাভাবিকভাবেই হাতির দলের তাণ্ডবে রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পাশের সোনাখালি জঙ্গল থেকেই হাতির দলটি লোকালয়ে এসেছে বলে অনুমান বাসিন্দাদের।


আরও পড়ুন,'আমি বাড়ি থাকলে মুড়ি খাওয়াতাম', এসএসসি মামলায় ইডি অভিযান নিয়ে প্রতিক্রিয়া পরেশের


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি, জলপাইগুড়ির পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরে হামলা চালায় হাতির দল। মেদিনীপুর সদর ব্লকের জঙ্গলমহলে প্রায়শই হাতির হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরপেরই হাতির  লোকালয়ে আটকাতে প্রবেশ আটকাতে কয়েক কুইন্ট্যাল ফলের বীজ নিয়ে জঙ্গলে পৌছয় ছাত্র-ছাত্রীরা।  হাতির কারণে আতঙ্কে থাকতে হয় এই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের বেশিরভাগকেই ৷ এই ছাত্রছাত্রীদেরই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হাতির বারবার লোকালয়ে হামলার কারণ বুঝিয়েছিলেন ৷ তা থেকে উদ্ধারের রাস্তা হিসেবে জঙ্গলে হাতির খাদ্য উপযোগী গাছ বাড়ানোর কথাও শিখিয়েছিলেন ৷ এরপরেই হামলার প্রতিহিংসা করে নয়, খাবার দিয়েই ছাত্র-ছাত্রীরা হাতি প্রবেশ আটকানোর চেষ্টা করে। যদিও উত্তরবঙ্গে প্রায়শই হাতির হামলা দেখা যায়। কখনও বিঘার পর বিঘা চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কখনও হামলার শিকার হন সাধারণ মানুষ। তবে এক্সপ্রেস ট্রেনেও ধাক্কা লেগে বহু দুর্ঘটানর খবর প্রকাশ্যে এসেছে।