পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: চাকরি খোয়ালেন এবার তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ (TMC Leader Closed) বাঁকুড়ার বাপি বাউরী। উল্লেখ্য, কাকা তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁকেও বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে তৃণমূলের  ব্লক স্তরের নেতাদের আশেপাশে। সম্প্রতি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ওএমআরে (OMR) বিকৃতি ঘটিয়ে চাকরি পাওয়াদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকার ১১৯ নম্বরে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বাপী বাউরীর নাম প্রকাশিত হতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল (TMC)।


'প্রভাব খাটিয়ে পাওয়া চাকরি' খোয়ালেন তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ


বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের তালাডাং গ্রামের বাসিন্দা বাপী বাউরী। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবেই তিনি পরিচিত। বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিধান সিংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময় তাঁর ছবিও রয়েছে। বাপীর কাকা গুইরাম বাউরী তৃণমূল পরিচালিত বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। ২০১৭ সালে বাপী বাউরী কাঞ্চনপুর হাইস্কুলে গ্রুপ সি পদে চাকরি পান। তারপর থেকে এতদিন তিনি সেখানেই কাজ করে আসছিলেন। 


'মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি'


সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে 'ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরে বিকৃতি ঘটিয়ে' গ্রুপ সি পদে চাকরি প্রাপকদের তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় সেই তালিকায় ১১৯ নম্বরে নাম রয়েছে বাপী বাউরীর। তালিকায় বাপী বাউরীর নাম দেখে রীতিমত হতবাক এলাকার বাসিন্দারা। বিজেপির দাবি, শুধু বাপী বাউরী নয়, তৃণমূলের ছোট বড় ও মাঝারি নেতাদের ভাই ভাইপোদের মোটা টাকার বিনিময়ে এই ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বাপী বাউরীর বাড়িতে গিয়েও তাঁর দেখা মেলেনি। টেলিফোনেও তিনি সাড়া দেননি।


'নির্দেশিকা মিললে ব্যবস্থা'


পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা কিছু জানেন না। বাপী বাউরীর স্কুলে গিয়েও তাঁর দেখা মেলেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সম্প্রতি কমিশন প্রকাশিত তালিকায় বাপী বাউরীর নাম তাঁরাও দেখেছেন। কিন্তু এখনও শিক্ষা দফতরের তরফে কোনও নির্দেশিকা মেলেনি। নির্দেশিকা মিললে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন,'পুলিশ নাবালক নাকি ?', থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি মদনের পর গ্রন্থাগার মন্ত্রীর


অস্বস্তিতে শাসক দলের ব্লক নেতৃত্ব


তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বাপী বাউরীর নাম প্রকাশ হতেই । তাঁদেরঅস্বস্তিতে শাসক দলের ব্লক নেতৃত্ব সাফাই বাপী বাউরী দলের কে তা তাঁরা চেনেন না। দলের কোনও পদেও তিনি নেই। কীভাবে চাকরি পেয়েছেন তা তাঁরা জানেন না। বাপী বাউরীর কাকা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন,  বাপীর চাকরির ব্যাপারে তিনি কোনও প্রভাব খাটাননি।