পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাসন ও সোনার গহনা ঝকঝকে করে দেওয়ার নামে প্রতারণার (Fraud Case) ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আন্তঃরাজ্য এক চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করল বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ (Police)। 


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ আসে কেউ বা কারা কাঁসার বাসন ও সোনার গহনা ঝকঝকে করে দেওয়ার নামে তা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জেলার নাকা পয়েন্টগুলিকে সতর্ক করে । জেলার একটি নাকা পয়েন্টে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়, পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার বাসিন্দা রোহিত কুমার সো ও বিহারের পূর্নিয়া জেলার বাসিন্দা মিথিলেশ কুমার সো-কে। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বেশ কিছু সন্দেহজনক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।


পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ধৃত দুজন ওই ঘটনাগুলির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, এই চক্রের সাথে যুক্তরা গ্রামে গিয়ে কাঁসার বাসন চকচক করে দেওয়ার কাজ করে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে নিত। পরে সোনার গহনা চকচকে করে দেওয়ার নামে সুযোগ বুঝে তা নিয়ে চম্পট দিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই চক্রের সফট টার্গেট হত গ্রামের বয়স্ক ও একা থাকা গৃহবধূরা। দুজনকে গ্রেফতারের পর এই চক্রের সাথে আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি জেলা জুড়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপরেও জোর দিচ্ছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ।


ফেব্রুয়ারি মাসেও একটা প্রতারণাকাণ্ডের মুখোমুখি হয়েছিল রাজ্য। পুরস্কারের পাওয়ার নামে ফোন করে প্রতারণার অভিযোগ। পাটুলিতে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬ জনকে। প্রতিযোগিতায় এন্ট্রি ফি-র নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাটুলিতে বসে ভিনরাজ্যেও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি পুলিশ সুপার অফিসে বসেই প্রতারণার ফাঁদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার নামে, এক যুবকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মালদার পুলিশ সুপারের অফিসের এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত।  


আরও পড়ুন, 'রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি মোদি সরকারের', মন্তব্য অধীরের 


অপরদিকে, নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্য়ে এবার, খোদ পুলিশ সুপারের অফিসে বসেই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ উঠেছিল মালদায়।