পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাংলা (Bengali) পড়াতে পারেন না শিক্ষক। এই অভিযোগে বাঁকুড়ার ওন্দার প্রাথমিক স্কুলে তালা ঝোলালেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের পাশে দাঁড়ালেন প্রধান শিক্ষক। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষকের। তৈরি করা সমস্যা কিনা খতিয়ে দেখতে হবে, প্রতিক্রিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের।
বাঁকুড়ার ওন্দার প্রাথমিক স্কুলে তালা অভিভাবকদের: বাংলা মাধ্যম স্কুল, অথচ সেখানে বাংলাই শিখতে পারছে না কচিকাঁচারা। এমনই অভিযোগে সরব অভিভাবকরা। বাংলা পড়াতে পারছেন না শিক্ষক। এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি, স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন অভিভাবকরা। এই ছবি বাঁকুড়ার ওন্দার চড়ুইকুঁড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এখানে প্রাক প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৮। প্রধান শিক্ষককে নিয়ে ২ জন শিক্ষক রয়েছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষক রাজীবকুমার দীক্ষিত বাংলা পড়াতে পারেন না। বাংলা বানানে অজস্র ভুল করেন।
ওই স্কুলের অভিভাবক স্বপন পালের কথায়, “উনি বাংলাতেই পড়াতে পারছেন না ইংরেজি দূরের কথা...ছেলেমেয়েরা কিছুই শিখবে না। এসআই, চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলা।’’ সোমবার বিক্ষোভ দেখানোর পর অভিভাবকরা স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলে বাইরে আটকে পড়েন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক দিলীপকুমার নন্দীর কথায়, “এসআইকে জানালাম। উনি বাংলা বা ইংরেজি পড়াতে পারছেন না। পড়ুয়ারা কিছু জিজ্ঞাসা করলে উনি আমাকে দেখিয়ে দেন।’’
শিক্ষকের বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগের পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ শিক্ষকের। ওই শিক্ষক রাজীবকুমার দীক্ষিতের কথায়, “মিথ্যা অভিযোগ করলে আমি কী করব। ওরা সাজিয়ে গুজিয়ে বলছে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’’ ঘটনায় সংশয় প্রকাশ করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বসুমিত্রা সিংহ বলেন, “অভিভাবকদের সমালোচনার এক্তিয়ার নেই...সমস্যাটা তৈরি করা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে।’’ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষক সম্পর্কে গ্রামবাসীদের অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: Paschim Medinipur: ভুয়ো পরিচয়ে চাকরি! এনভিএফ নিয়োগে জালিয়াতির পর্দাফাঁস