তুহিন অধিকারী, পাত্রসায়ের : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাল পেরিয়ে নিজের জমিতে চাষ করতে যাচ্ছিলেন কৃষক। কিন্তু, অসতর্কবশত খালের জলে তলিয়ে মৃত্যু হল ওই কৃষকের। নাম উপানন্দ মণ্ডল (৫৪)। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের পাটিত গ্রামের ঘটনা।
কী ঘটনা ?
পাত্রসায়ের ব্লকের পাটিত গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পাটিত খাল। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, এই খাল পারাপার করার জন্য কংক্রিট একটি সেতু তৈরি করে দেওয়া হোক। বিগত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে পাটিত খাল।
গতকাল পাটিত গ্রামের বাসিন্দা তথা পেশায় কৃষক উপানন্দ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাল পেরিয়ে নিজের জমিতে চাষ করতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই অসতর্কবশত খালের জলে তলিয়ে যান তিনি। খবর যায় গ্রামে ও পরিবারের কাছে। বহু খোঁজাখুঁজি করার পরও তাঁকে খুঁজে না পেয়ে খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। স্পিড বোড নামিয়ে সন্ধে পর্যন্ত বহু খোঁজাখুঁজি করার পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফের আজ সকালে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী খালের জলে বহু খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর তাঁর দেহ জলেই ভাসতে দেখেন অপর এক কৃষক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকালই বাঁকুড়ার কোতুলপুরে জলের তোড়ে ভেসে যায় খালের ওপর তৈরি কংক্রিটের সেতু। কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ডিঙাল খালের পাশে সংযোগকারী রাস্তা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। দু’পাড় ভাসিয়ে বইছে খালের জল। নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা দু’-ফসলি, তিন-ফসলি জমি। চোখের সামনে ফসলি জমি হারিয়ে বছরভর অনাহারে কাটানোর আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার।
এদিকে ফের গন্ধেশ্বরী নদীর জলের তোড়ে ভাঙল সেতুর একাংশ। ভেসে গেল সংযোগকারী রাস্তা। সেতু সংস্কারের মান নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকাবাসী। সেতু বিপর্যয় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সংস্কারের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের গন্ধেশ্বরী নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।