পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : বাইক চুরি কাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান জেলা পুলিশের ডিএসপি, ডিএনটি সুপ্রকাশ দাস। তিনি জানান, ইতিমধ্যে বাইক চুরি চক্রের দু'জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ছ'টি বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।


একই সঙ্গে তিনি বলেন, পুজোর পর থেকে বাঁকুড়া সদর থানা ও ওন্দা থানা মিলিয়ে মোট চারটি বাইক চুরির অভিযোগ জমা পড়ে। ঘটনার তদন্তে নেমে গত ২৫ ডিসেম্বর ওন্দার রতনপুর গ্রামের শ্রীকান্ত মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়। এর পাশাপাশি দু'টি বাইক উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সূত্র ধরেই আরও চারটি বাইক উদ্ধার করা গেছে। পাশাপাশি শুক্রবার আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও অনেকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ধার হতে পারেও আরও বাইক বলে জানান তিনি।


অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাঁকুড়া শহরের যোগেশ পল্লি, শ্রীপল্লি, ময়রাবাঁধ, কবরডাঙা এলাকায় লক ভেঙে বাইক নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। অভিযুক্তদের দু'জনের নামে এর আগে এই ধরনের কোনও অভিযোগ নেই। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।


আগেও রাজ্যের অন্য প্রান্তে চুরি...


২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বাইক (Motorbike) চুরি (theft) চক্রের তিন পাণ্ডাকে গ্রেফতার (arrest) করেছিল পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ (police)। আউশগ্রাম (Purba Bardhaman) থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া ১২টি বাইক।


কী ঘটেছিল ?


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে ভাল্কি থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি চোরাই বাইকও উদ্ধার হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও এগারোটি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাইকগুলি চুরি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হতো। কিন্তু কাদের ? 


বাইকচুরি চক্রের নানা ঘটনা আগেও সামনে এসেছে এই রাজ্যে। ওই বছরেরই জুলাইয়েই যেমন মোটরবাইক চুরি চক্রের আরও এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল লেকটাউন থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল ৫টি বাইক। সব মিলিয়ে ওই পর্বে গত পাঁচদিনে ৬টি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। ২৩ জুন, লেকটাউনের জয়া সিনেমা হলের সামনে একটি বাইক চুরি যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাইক চুরি চক্রের তিন পাণ্ডাকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ১ জুলাই সৌরভ ঘোষ ও তার আগে অভিজিৎ কাহার নামে চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বাইক চুরি করে ভিনরাজ্যে পাচার করা হত বলে পুলিশের দাবি। আর কারা এই চক্রে জড়িত তারও খোঁজ শুরু হয়।