নয়াদিল্লি :  পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় গঙ্গাসাগর যাত্রী ৩  সাধুর উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন  শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের প্রধান পুরোহিত । আচার্য সত্যেন্দ্র দাস সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রীর  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান।  বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যখনই 'ভগওয়া ' রং ( গেরুয়া ) রং দেখেন, তখনই রেগে যান।


পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় অপহরণকারী সন্দেহে তিন সাধুকে নিগ্রহ করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাঁরা  যাচ্ছিলেন গঙ্গাসাগরের মকর-স্নান করতে। সম্ভবত নাবালিকাদের ডেকে পথনির্দেশ জানতে চান তাঁরা। তাতেই তাঁদের অপহরণের উদ্দেশ্য আছে বলে সন্দেহ করে , বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। নিগ্রহের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চড়তে থাকে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যের সরকারকে একহাত নেয় বিজেপির নেতারা।                     


শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের প্রধান পুরোহিত এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিমদের প্রতি বেশি সহানুভূতিশীল বলে কেউ তাঁকে নাম দিয়েছিল মুমতাজ খান। দেশে পশ্চিমবাংলায় সব থেকে আক্রান্ত হন হিন্দুরা। রাম নবমী ও অন্যান্য ধর্মীয় মিছিলে হামলা হয়েছে । ' তাঁর বিস্ফোরক দাবি, ' যখনই মা দুর্গার পুজোর আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠি ত হয় এবং মানুষ পুজো করতে যায়, তারপর সেই প্যান্ডেলগুলি  নষ্ট করে ফেলা হয়। ' 


তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনেরর হামলার প্ররোচনা দেন। তিনি 'ভগওয়া ' রঙ দেখে রেগে যান এবং এই কারণেই তিনি এই আক্রমণগুলি ঘটান ... এই ঘটনাগুলি অত্যন্ত নিন্দনীয়, মন্তব্য আচার্য সত্যেন্দ্র দাসের। 


এদিকে , কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে । তিনি বলেন, তুষ্টিকরণের রাজনীতি এমন পরিবেশ তৈরি করেছে । পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।' 


বিজেপি নেতারা এই ঘটনার সঙ্গে পালঘরের ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন। ২০২০ সালে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল পালঘরে গণপিটুনিতে সন্ন্যাসী মৃত্যুর ঘটনা। মহারাষ্ট্রের পালঘরে শিশুচুরির গুজবে ৩ সন্ন্যাসী-সহ ৩ জনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। পালঘরের গড়চিঞ্চলে গ্রামে প্রায় ১০০ গ্রামবাসী সশস্ত্র অবস্থায় সন্ন্যাসীদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। মারা যান ২ জন।  


আরও পড়ুন :


অপহরণকারী সন্দেহে তিন সন্ন্যাসীকে গণপিটুনি ! গ্রেফতার ১২, পালঘর-প্রসঙ্গ টেনে সরব বিজেপি