পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বঙ্গে সময়ের অনেক পরেই এসেছে বর্ষা। উত্তরবঙ্গে বর্ষার দাপট কিছুটা দেখা গেলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি ঘাটতি রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এবার চিন্তায় বৃদ্ধি পেয়েছে চাষীদেরও। বৃষ্টির ঘাটতি আউশ এবং আমন ধানের চাষ নিয়ে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে বাঁকুড়ার কৃষকদের। এখনই চিন্তার কোন কারণ নেই জানাচ্ছে বাঁকুড়া কৃষি বিভাগ।


বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতি-এর জেরে আউশ ও আমন ধানের চাষবাস নিয়ে বড় চিন্তায় রয়েছে বাঁকুড়ার কৃষকদের। জেলার একটা বড় অংশের কৃষক এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ভারী বৃষ্টির আশায়। বাঁকুড়া কৃষি দফতর জানাচ্ছে এখনই চিন্তার কিছু নেই এখনও সময় রয়েছে। 


প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলা একটা বড় অংশের কৃষক নির্ভর করে বর্ষার ধান চাষের উপর। এবার সেই চাষে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির বড়সড় ঘাটতিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে জেলার আউশ ও আমন ধানের চাষে। এর ফলে চিন্তায়  পড়েছেন জেলার কৃষকরা। তাঁদের কথায় বৃষ্টির অভাবে ধানের বীজতলা শুকিয়ে গেছে সেই বীজ বাঁচাতে যেমন প্রয়োজন বৃষ্টির অন্যদিকে বীজতলা রোপনের উপযোগী হয়ে উঠলেও মাঠ শুকিয়ে কাট হয়ে যাওয়ার কারণে ধান রোয়ার কাজও শুরু করতে পারছেন না কৃষকরা। 


বৃষ্টির ঘাটতির জেরে এবার আউশ-আমনের রোপন কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে কৃষকদের। এবার যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে আগামী দিনে ধান চাষের ক্ষেত্রে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কৃষকরা। জেলা কৃষিদফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় জুন মাসে বৃষ্টির প্রয়োজন ২২৬ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ১১৩ মিলিমিটার। জুলাই মাসে বৃষ্টির প্রয়োজন ৩১৯ মিলিমিটার। সেখানে জুলাই মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১০১ মিলিমিটার। স্বাভাবিক বৃষ্টির থেকে এবার যথেষ্ট বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে।                            


আরও পড়ুন, 'ভাঙতে সবাই পারে গড়তে পারে ক'জনে?' সারদা মায়ের তিরোধান দিবসে সঙ্গী হোক মায়ের বাণীই


জেলা কৃষি দফতরের কথায় এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে৷ জেলায় আউশ ও আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৪০  হাজার হেক্টর। জুলাই মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপনের কাজ হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর জানাচ্ছে যেখানে সেচ এর ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই রোপনের কাজ চলছে বাকি অংশে বৃষ্টির অভাবে চাষ শুরু হয়নি। তবে এখনই চিন্তার কোন কারণ নেই বলে দাবি কৃষি আধিকারিকদের। আউশ ও আমন ধানের চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে এখন বৃষ্টির উপর ভরসা করছেন কৃষি বিভাগের আধিকারিকরাও।