তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: পুরভোটের (Municipal Election) আমেজ রাজ্যজুড়ে। তার প্রাকমুহুর্তে বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীতে তৃণমূল (TMC) ও নির্দল (Independent) কর্মীদের মধ্যে বাধল হাতাহাতি। এলাকায় চরমে পৌঁছল উত্তেজনা। এমনকী আহত হলেন উভয় পক্ষের ৪ জন।


জানা গেছে, ঘটনাটি সোনামুখী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের। সোমবার রাত দশটা নাগাদ সেখানের তৃণমূল কর্মী ও নির্দল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাতাহাতির পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছয় যে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হন। 


১১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট দেবনাথ ঘরকে প্রথমে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে বলে তাদের অভিযোগ। অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীদের ওপর নির্দল কর্মীরা চড়াও হয়ে মারধর করে বলে পাল্টা অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে সোনামুখী পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোনামুখী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


নির্দল প্রার্থী সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'দেবনাথ ঘর নামে আমার ইলেকশন এজেন্ট রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছিল। তৃণমূল কর্মীরা আমার ইলেকশন এজেন্টকে মারধর করে এবং পার্টি অফিস ভাঙচুর করে।' এছাড়াও তাঁর আরও দাবি যে 'ওদের' পায়ের তলার মাটি সরে গেছে তাই এসব করছে।


আরও পড়ুন: Anish Khan Death Update Rally : চ্যাংদোলা করে তোলা হল প্রিজন ভ্যানে, ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে শেষমেশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করল পুলিশ


১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিজিৎ পাল পাল্টা বলেন, 'আমরা কেন মারপিট করতে যাব! ওরাই আমাদের ছেলেকে ভোজালি দিয়ে, পিস্তলের বাট দিয়ে, রড দিয়ে মারধর করেছে।' তাঁর কথায়, 'গতকাল আমাদের যে মহামিছিল বেরিয়েছিল সেটা দেখে সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। সেই জন্য এই সব কাজ করছে নির্দল প্রার্থী। এখানে মানুষের সমর্থন পাবে না সেটা ওরা বুঝে গেছে।'