পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়়া: রঙের উত্সবে লাগল রাজনীতির রং। বাঁকুড়ায় (Bankura) RSS-এর অফিসে কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে আবির খেললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। ভারতমাতার পায়ে আবির দিয়ে রং খেলা শুরু হয়। বাংলায় অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে এনেছেন আবির, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। পুরভোটে জিততে পারেন না, উত্তরপ্রদেশে যান, এখানে কেন! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জবাব তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি ও তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর।


এদিকে রাজ্যের অন্য প্রান্তে বিক্ষিপ্ত একটি ঘটনায় চেয়ারম্যানের চেয়ারে কে বসবেন? তা নিয়েই বিভিন্ন পুরসভায় দেখা যাচ্ছে অশান্তি। কিন্তু জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি পুরসভার (Maynaguri Municipality) প্রথম চেয়ারম্যানের শপথগ্রহণের মঞ্চে জায়গা না পাওয়ার অভিযোগে বাধল গোলমাল! জেলা তৃণমূলের (TMC) সভানেত্রীর সঙ্গেই তরজায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল নেতা ও ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ।


চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী-সহ কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণের মঞ্চে ডাক না পাওয়ায় দলবল নিয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যান ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণি ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অজয় মল্লিক। পরে তিনি বলেন, ‘আজ শপথ ছিল। সবাইকে ডাকা হয়েছে। একজন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হয়েও আমাকে ডাকেনি, তাই আমরা বেরিয়ে এসেছি।''


তৃণমূল কর্মীদের একাংশ সরাসরি চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারীকে নিশানা করতে থাকেন। আশিস দাস নামে এক তৃণমূল কর্মীর কটাক্ষ, ‘চেয়ারম্যান কে করল একে! এর দ্বারা কতটা উন্নয়ন হবে সন্দেহ। এর আগে বিধায়ক ছিলেন, কিছুই করেননি। একে নিয়ে আমরা খুশি নই।’


এদিকে, রঙের উৎসবে সামিল রাজনীতিবিদরাও। দোলে মাতলেন শশী, কল্যাণ, কৃষ্ণা। আবির খেললেন দিলীপ, সুভাষ। উৎসবে সামিল রাজনাথ, নকভি।


দোলের দিন অন্য মুডে দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। দমদমের সেভেন ট্যাঙ্কসে নিজের পাড়ায় কাউন্সিলর স্ত্রীকে নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মাতলেন আবির খেলায়।  



দোল খেলায় মাতলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। এ দিন ল্টলেক সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে সল্টলেকের বিএফ পার্কে বসে রেন ডান্সের আসর। ডিজে-র তালে রং খেলায় মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।