বাঁকুড়া : জনসংযোগে জোর দিতে বলেছিলেন দলনেত্রী। সেইমতো পথে নামল বাঁকুড়া (Bankura) জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। একই সঙ্গে হল পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারও। দলনেত্রীর নির্দেশের পর তৃণমূলের প্রতিনিধিদের পথে নামতে দেখে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।


তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, দরজায় দরজায় মানুষের কাছে যান। মানুষের হয়ে কাজ করুন। মানুষ কোথায় কি পাচ্ছে না, সেটা ভালো করে দেখুন।


আরও পড়ুন ; অভিষেকের আশ্বাসের পর হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতন সমস্যা মেটাতে তৎপর INTTUC


বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশমতো পথে নামল বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্ব। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো জনসংযোগের সঙ্গেই চলল পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার। 


বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সহ সভাপতি ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, নিশ্চিন্ত থাকুন। আপনাদের সমস্ত ব্যবস্থা আমরা করে দেব। সবাইকে বলবেন তৃণমূলে ভোট দেওয়ার জন্য। 


বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের সানাবাঁধ এলাকায়, জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতির কাছে অভাব-অভিযোগের ঝুলি উপুড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


বাঁকুড়া (১)-এর সানাবাঁধের বাসিন্দা কমলা বাউরি বলেন, আমাদের ঘর নেই বললাম। ত্রিপল সমস্যা, বার্ধক্য ভাতা। এখন দেখি কী হয়। অপর এক বাসিন্দা সোমা লোহার বলেন, সবাইকে তো বলেছি, কোনও কাজ হয়নি। এনাকে বললাম, দেখি কি কাজ হয়।


দলনেত্রীর নির্দেশের পর তৃণমূলের প্রতিনিধিদের পথে নামতে দেখে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই হুঁশ ফিরেছে। কাটমানির টাকা ফুরিয়ে গেছে। এই কর্মসূচি স্থায়ী হবে না। দুঃখ লাঘব করতে যায় না। বিজেপি মানুষের পাশে আছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার প্রমাণ দেবে।
 
বাঁকুড়ায় মোট ১৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ১৯০ টির মধ্যে ১৮৮টি দখল করে তৃণমূল। ২টিতে জয়ী হয় বিজেপি। এবার কী হবে? সেই উত্তর মিলবে আগামী বছরে।