পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: তীব্র দহনে পুড়ছে গোটা রাজ্য। তার মধ্যেই এল দুঃসংবাদ। অন্তত বিয়ার প্রেমীদের জন্য তো বটেই। কারণ একটি নয়, দু’টি নয়, বাঁকুড়ায় চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে হাজার হাজার বিয়ারভর্তি বোতল (Beer Bottles)। তৃষ্ণা নিবারণে বয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে রাস্তায় (Road Accident)। তাতে উল্টে যায় বিয়ারের পেটি ভর্তি আস্ত একটি লরি। তাতেই মুহূর্তের মধ্যে চুরমার হয়ে যায় হাজার হাজার বোতল। 


পেটি পেটি বিয়ার নিয়ে উল্টে গেল ট্রাক


বাঁকুড়া (Bankura NEws) সদর থানা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার বিয়ারের পেটি বোঝাই কের বেরিয়েছিল লরিটি। বাঁকুড়া থেকে যাচ্ছিল পুরুলিয়ার দিকে। সেই সময়ই বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জাতীয় সড়ক সংলগ্ন নতুনগ্রামের কাছে দুর্ঘটনার কবরে পড়ে লরিটি। তাতেই ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে পেটি পেটি বিয়ার। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক ধরে এগনোর সময় নতুনগ্রামের কাছে টার্নি‌ং পয়েন্ট পড়ে। ওই রাস্তা ধরে বাঁক নেওয়ার সময় আচমকাই লরির সামনের চাকাটি তীব্র শব্দে পেটে যায়। তাতেই আর লরির নিয়ন্ত্রণ সামলাতে পারেননি চালক। টলমল করতে করতে কিছুদূর গিয়ে রাস্তার ধারে উল্টে পড়ে লরিটি। 


সশব্দে লরিটি উল্টে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গাড়িতে বোঝাই করে রাখা পেটি হুঁড়মুড়িয়ে নীচে একটির ঘাড়ে অন্যটি পড়তে শুরু করে। পেটির মুখ খুলে ঝনঝন কেরে ইট-পাথরের রাস্তার খসে পড়তে থাকে বিয়ার ভর্তি বোতল। মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার বোতল চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। এদিক ওদিক গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় হাতেগোনা কিছু বোতলকে। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। কিন্তু তত ক্ষণে কিছুই প্রায় আর অবশিষ্ট নেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশও।


আরও পড়ুন: West Bengal Heat Wave : তীব্র হয়েছে তাপদাহ, জেলায় জেলায় স্কুলগুলি এই ব্যবস্থা নিল


গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য


উল্লেখ্য, তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা বাংলাই। তার জেরে সকালের পর থেকে রাস্তাঘাটে লোকজন প্রায় নেই বললেই চলে। তবে এখনই স্বস্তির কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে কলকাতায় আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই গরমের মধ্যেই তমলুকে এ দিন অসুস্থ হয়ে পড়েন এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। 


এমন পরিস্থিতিতে বিচলিত অভিভাবকরা। জেলায় জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও জেলায় স্কুলের সময় বদলানো হল, কোথাও আবার অভিভাবকরা গরমের ছুটি এগিয়ে আনার অনুরাধ করলেন।