পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকলেও, নেই যথেষ্ট পরিমান সিরিঞ্জ। ফলে, বাঁকুড়ার বহু কেন্দ্রে বন্ধ ভ্যাকসিনেশন। নোটিস দিয়ে, সিরিঞ্জের অভাবে ভ্যাকসিনেশন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে বলে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
কথায় বলে, ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার! এখন, কার্যত সেই অবস্থাই হয়েছে বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। করোনার ঢাল অর্থাৎ ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকলেও, নেই ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো সিরিঞ্জ! অন্য জেলাতে যখন, ভ্যাকসিনের আকাল রয়েছে, তখন সিরিঞ্জের অভাবে বাঁকুড়া জেলার বহু সেন্টারেই বন্ধ রয়েছে ভ্যাকসিনেশন!
বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রীতিমতো, নোটিস দিয়ে সিরিঞ্জের অভাবে ভ্যাকসিনেশন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। শুধু এখানেই নয়, সিমলাপাল, শালতোড়া, বড়জোড়া-সহ বেশ কয়েকটি ব্লকেই একই অবস্থা। ভ্যাকসিন নিতে এসে, ফিরে যেতে হচ্ছে বহু মানুষকেই।
বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবজ্যোতি গোস্বামী জানিয়েছেন, 'আমাদের কাছে প্রতিদিন সাত-আটশো মানুষ হয়, এক সপ্তাহ ধরে সিরিঞ্জের অভাব রয়েছে। আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। মানুষের যেন অসুবিধে না হয়, তাই নোটিস দেওয়া হয়েছে।'
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই সিরিঞ্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে, দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে বলে আশাবাদী জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেনের কথায়, রাজ্যকে বলা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে। এখনও কিছু সিরিঞ্জ আছে। তা দিয়ে চলে যাবে। সিরিঞ্জের যোগান ঠিক রাখতে, আগে থেকেই কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না, এই প্রশ্নই তুলছেন জেলার বাসিন্দাদের অনেকেই।
আরও পড়ুন: শারীরিক সম্পর্কের সময়েই শ্বাসরোধ করে ২ প্রেমিকাকে খুন, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরও পড়ুন: টিকাকরণের পর মৃত্যু, শিশুর দেহ নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ পরিবারের