কলকাতা: রান্নায় একেক জন এক এক রকমের তেল (Oil) ব্য়বহার করে থাকেন। আবার কেউ কেউ রান্নায় ঘি-ও (Ghee) ব্যবহার করেন। স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে রান্নায় সঠিক উপাদান ব্যবহার খুবই জরুরি। খেয়াল রাখা দরকার, যে উপাদান আমরা রান্নায় ব্যবহার করছি, তা আদৌ স্বাস্থ্যকর কিনা। বহু মানুষ রান্নায় সাদা তেল ব্যবহার করেন। আবার কেউ সর্ষের তেল কিংবা নারকেল তেল। কেউ আবার অলিভ অয়েল। নিজের পছন্দ মতো তেলের ব্যবহার হয় রান্নায়। কিন্তু কোন তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী, তা আমাদের আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। 


আরও পড়ুন - Iron Deficiency: শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে কী কী অসুখ দেখা দিতে পারে?


করোনা পরিস্থিতি চলছে। এই সময়ে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার স্বাস্থ্যের দিকে। তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার পাশাপাশি রান্নাতেও স্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহারের পরামর্শ চিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তেল রান্নায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই কোন তেলের উপকারী গুণাগুণ কতটা, তা জেনে তবেই রান্নায় সেই তেল ব্যবহার করা দরকার।


আরও পড়ুন - Intermittent Fasting: দীর্ঘক্ষণ উপবাসে থাকার পর কী খাবেন আর কী খাবেন না?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং ঘি-তে প্রায় সম পরিমাণ ক্যালোরি রয়েছে। তাই ক্যালোরির দিক থেকে এই তিন উপাদানেরই গুণাগুণ এক।


২. উপকারিতার দিক থেকে যদি দেখা যায়, তাহলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নারকেল তেলের তুলনায় অলিভ অয়েলে বেশি পরিমাণে উপকারী উপাদান রয়েছে। ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে থাকার পাশাপাশি নারকেল তেলে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এবং অলিভ অয়েলে এই দুই ভিটামিনের সঙ্গে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটও রয়েছে। এছাড়া, এদের সঙ্গে তুলনায় দেখা যাচ্ছে ঘি-এ স্যাচুরেটেড, মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন রয়েছে, তেমনই ভিটামিন এ-ওয়ান, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন ই রয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল এবং ঘি-এর মধ্যে তুলনায় ঘি-তে বেশি পরিমাণে উপকারী উপাদান রয়েছে। তবে, এরপরও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন রান্নায় অলিভ অয়েল ব্যবহার করার জন্য। তাঁদের মতে, ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। তবে, যে তেলই রান্নায় ব্যবহার করুন না কেন, তা অবশ্যই স্বল্প পরিমাণে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।