কলকাতা : ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ। এনিয়ে এবার শুরু হল বিজেপি-তৃণমূল তরজা। আজ এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, “অর্জুন এনআইএ তদন্তের দাবি করেনি। শুভেন্দু বলেছিল এনআইএ হবে। আসলে এটা বিজেপি করেছে। অর্জুন তৃণমূলে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তাই অর্জুনের বিরুদ্ধেই এনআইএ লাগিয়ে দিল।“
এর জবাবে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল আসলে এধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। তারা তাদের চশমা দিয়ে বিজেপিকে দেখতে অভ্যস্ত। একটু অপেক্ষা করুন। যিনি এই কথা বলছেন, কিছুদিন পর দেখবেন তিনিও বিজেপি অফিসের বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন।
প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর বিজেপি সাংসদের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর বোমা ছোড়া হয়। এই ঘটনায় এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঘটনায় খুনের চেষ্টা, সংগঠিত অপরাধ, বিস্ফোরক আইনে মামলা।
৮ সেপ্টেম্বর সাতসকালে অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সকাল ৬টা নাগাদ জগদ্দলে বিজেপি সাংসদের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ৩টি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। একটি বোমা সাংসদের বাড়ির দরজা ও অপর বোমাটি উল্টোদিকে সিআইএসএফ জওয়ানদের পাহারাস্থলের কাছে ফাটে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না ব্যারাকপুরের সাংসদ। তাঁর দাবি, ভবানীপুরে ভোটের দায়িত্ব পেতেই ভয় দেখাতে হামলা চালানো হয়েছে।
বোমাবাজির নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তৃণমূলের কটাক্ষ, খবরে ভেসে থাকতে চান অর্জুন সিং। কাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, তা এতেই স্পষ্ট। অন্যদিকে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্রে পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় আক্রান্তরা বোমা ছোড়ে। ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়। বিজেপি সাংসদের বাড়িতে বোমাবাজির এই ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।