কলকাতা : নন্দীগ্রামে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে তিনি শেষ হাসি হেসেছিলেন। সেই 'ক্ষত' এখনও টাটকা তৃণমূলের কাছে। ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে সেই 'ক্ষত'-য় নুন ঢাললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্তত তাঁর আজকের মন্তব্যের পর সেরকমটাই বলছে রাজনৈতিক মহল।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। আজ সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নন্দীগ্রামে (Nandigram) আমি একটি প্রতীক মাত্র ছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছে নন্দীগ্রামের জনতা, বাংলার জনতা। ভবানীপুরে মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, বুথে যদি ছাপ্পা না পড়ে তাহলে এই আসনেও মোদিজির আশীর্বাদপুষ্ট প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল তথা বিজেপিই জিতবে।“
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে ভোটগ্রহণ হবে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে ক্রমশ চড়ছে পারদ। এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রচারে কোনও কসুর রাখছে না তৃণমূল। হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের মাঠে নামিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল।
কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। গত নির্বাচনে তার মধ্যে ৬টিতেই এগিয়েছিল তৃণমূল। বাকি দুটিতে লিড পায় বিজেপি। সার্বিক ফলে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়েছিল সবচেয়ে বেশি ভোটে। আবার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে লিড ছিল বিজেপির। উপনির্বাচনে সেই দুটি ওয়ার্ড (৭৭, ৭৪)-সহ ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ও ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বিধানসভা ভোটে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে রাখা হয়েছে রাসবিহারীর বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমারকে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে দিদিকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।