পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে চলত অত্যাচার। দিনে দিনে বাড়ছিল অত্যাচারের মাত্র। সহ্যের সীমা ছাড়ানোয় শেষ মেশ স্বামীর ঘর ছেড়েছিলেন। কিন্তু তার পরও নিস্তার মেলেনি বাপের বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালান স্বামী। তাতেই চরম পদক্ষেপ করলেন স্ত্রী (Bankura News)। গাছে বেঁধে স্বামীকে মেরে রাগ মেটাতে যান। তাতেই মারাত্মক পরিণতি হল। স্বামীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্ত্রী (Crime News)। 


সিন্টু আদকের সঙ্গে ২৫ বছর আগে বিয়ে হয় রীতা আদকের


বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া সদর থানার অন্তর্গত শ্যামদাসপুর গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে সেখানে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় মোটর মেক্যানিক সিন্টু আদকের সঙ্গে ২৫ বছর আগে বিয়ে হয় শ্যামদাসপুরের বাসিন্দা রীতা আদকের। বিয়ের পর থেকেই অত্যাচারিত হতেন রীতা। শেষ মেশ বছর ছয়েক আগে স্বামীর ঘর ছাড়েন তিনি। তিন মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন।


দিনপাত করতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি না রীতাকে। বিড়ি বেঁধে সংসার চালান তিনি। তিন মেয়ের বিয়েও দেন একার চেষ্টায়। তার পরও মতি ফেরেনি স্বামীর। অভিযোগ, মাঝে মধ্যেই রীতার বাপের বাড়িতে হাজির হতেন সিন্টু। ভাঙচুর চালাতেন, অত্যাচার চালাতেন বাকিদের উপর। শুক্রবারও রীতার বাপের বাড়িতে হাজির হন সিন্টু। বাড়িতে ভাঙচুর, তাণ্ডব চালানোর পর রীতার পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন।


আরও পড়ুন: TMC: তৃণমূল বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ, নিজের ফোন বাড়ির পুকুরে ফেলে দিয়ে বাড়ালেন জল্পনা


তাতে রীতাকে ডেকে আনেন তাঁর বাপের বাড়ির লোকেরা। পরিস্থিতি দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি রীতা। স্বামী সিন্টুকে গাছে বেঁধে ফেলেন। তার পর মারধর করেন। এর পর নিজেই বাঁকুড়া সদর থানায় হাজির হন তিনি। বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিন্তু রীতার দাবি, থানা থেকে বাপের বাড়ি ফিরে দেখেন, স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।


ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রীতা, খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে


বিষয়টি জানতে পেরেই শ্যামদাসপুর গ্রামে রীতার বাপের বাড়িতে হাজির হয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। সিন্টুর মৃতদেহ উদ্ধা করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজে। এর পাশাপাশি রীতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রীতা। স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।