কলকাতা : বাঁশদ্রোণীতে (Bansdroni) দুই প্রোমোটারের গুলিকাণ্ডে পুলিশের হাতে নতুন তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন রাউন্ড গুলি চলে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রোমোটার মলয় দত্তর হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি চালায় তাঁর ঘনিষ্ঠ শম্ভু সর্দার। পুলিশের দাবি, দুই প্রোমোটারের কারও আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল না।
মঙ্গলবার দিনেদুপুরে খাস কলকাতায় চলল গুলি ( Kolkata Shootout) চলে বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুর এলাকায়। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর অফিসে চলে গুলি। পাল্টা গুলিতে জখম হন অভিযুক্তও। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মলয় দত্তর দাবি, সকালে তাঁর অফিসে আসেন প্রোমোটার বিশ্বনাথ সিং ওরফে বাচ্চা। ওই প্রোমোটারের কাছে আগে কাজ করতেন ওই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন :
দিল্লি হিংসার ঘটনায় ধৃত মহম্মদ আনসার কি আপ না বিজেপি-র ? তরজা তুঙ্গে
' সটান মলয়কে লক্ষ্য করে গুলি '
মলয়ের অভিযোগ, কাজ ছেড়ে আসা নিয়ে বিশ্বনাথ তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি জুড়ে দেয়। তারপর কথা কাটাকাটির মধ্যেই আচমকা কোমরে গোঁজা আগ্নেয়াস্ত্র বার করে, সটান মলয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালান বিশ্বনাথ। গুলি লেগে, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর, বিশ্বনাথকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালান মলয়। অফিসের মধ্যে দুই প্রোমোটারের ছোড়া গুলি লাগে দু’জনের গায়ে।
'প্রায় ৫-৭ মিনিটের মধ্যে গোটা ঘটনা ঘটে'
পুলিশের দাবি, প্রায় ৫-৭ মিনিটের মধ্যে গোটা ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি চলার সময় দুই প্রোমোটার মলয় দত্ত ও বিশ্বনাথ সিংহ ছাড়া ধৃত তিনজনও ঘটনাস্থলে হাজির ছিল। এর মধ্যে শম্ভু ছিল মলয় দত্তর পক্ষে। বাকি দু’জন অরিজিৎ পোদ্দার ওরফে সানি ও শেখ শাহিদ ওরফে ভিকি ছিল বাচ্চা সিংহের লোক। মূলত জমি দখলকে কেন্দ্র করেই দুই প্রোমোটারের মধ্যে বিবাদ, তার জেরেই গুলি-পাল্টা গুলি চলে বলে পুলিশের অনুমান। এদিকে, বাঁশদ্রোণীকাণ্ডে তদন্তে নেমে মলয়-ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনকে পুলিশ অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করেছে।