বারাসত: বারাসত (Barasat News) সাংগঠনিক জেলায় আরও ভাঙন বিজেপি-তে (BJP)। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে ফের গণ ইস্তফা সেখানে। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ। তার জেরে জেলা কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন আরও পাঁচ সদস্য। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে জেলা কমিটি থেকে ২০ জন ইস্তফা দিলেন। যদিও জেলা সভাপতি যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পদ না পেয়ে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 


বারাসতে ফের ভাঙন বিজেপি-তে


রবিবার ইস্তফা দেওয়া বিদ্রোহী নেতারা বলেন, "আমরা চাই, গোটা জেলায় সুষ্ঠভাবে কাজ চলুক। আসল লড়াই তো তৃণমূলের বিরুদ্ধে! তা না করে নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে হচ্ছে। সকলের কাছে অনুরোধ, আগামী দিনে সুষ্ঠ ভাবে কাজ চলুক। লড়াই হোক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাদের হটিয়ে আণরা যেন ক্ষমতায় আসতে পারি। সভাপতি যে ভাবে কমিটি গড়ছেন, তাতে ক্ষোভ রয়েছে অনেকের।"


অন্য দিকে, বারাসতে জেলা বিজেপি-র সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, "কে কে ইস্তফা দিয়েছেন, আমি জানি না। এখনও কোনও চিঠি পাইনি। আগের বারও ১৫ জন ইস্তফা দিয়েছিলেন বলে খবর পেয়েছিলাম। পরে তাঁদের অধিকাংশই বলছেন, ভুল বুঝিয়ে, হুমকি দিয়ে কাগজে সই করানো হয়েছে। আসলে যাঁরা পদ পাননি, তাঁরাই এ সব করছে। সবাই ভাইস প্রেসিডেন্ট, সম্পাদক হতে চাইলে তো হবে না! দলের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক পদ রয়েছে আমাদের।"


আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari Update: 'বাংলায় জিততে চাইলে মানুষের মনজয় করা দরকার', ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট জিতেন্দ্রর


তবে বারাসতের তৃণমূল নেতা ধীমান রায় গোটা ঘটনাপর্বকে বিজেপি-র অবক্ষয়ের সূচনা হিসেবেই দেখছেন। তাঁর বক্তব্য, "বিজেপি-র যা অবস্থা এই মুহূর্তে, তাতে আরও বহু মানুষ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হবেন। তাতে আমাদের দল তৃণমূল আরও শক্তিশালী হবে।"


এক সপ্তাহে ২০ জনের ইস্তফা


এর আগে, বারাসাত সাংগঠনিক জেলা কমিটি থেকে একসঙ্গে ইস্তফা দেন ১৫ জন বিজেপি নেতা-নেত্রী। তাঁরাও তাপসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে রাজ্য সভাপতিকে চিঠি দেন। চিঠিতে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবংতৃণমূলের সঙ্গে আঁতাঁতের অভিযোগ তোলা হয়। সেই সময়ও অভিযোগ অস্বীকার করেন বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি।