সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : হোয়াটসঅ্যাপে পরপর ভরে গেল অশ্লীল ছবিতে। মোবাইলে চোখ রেখে বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল প্রধান শিক্ষিকার। সব ছবিই প্রাক্তন ছাত্রীদের।  আঁতকে ওঠেন শিক্ষিকা। কিছুক্ষণ পরই বুঝতে পারেন এটা একটা বড় ফাঁদ। অশ্লীল ছবিতে বসানো হয়েছে প্রাক্তন ছাত্রীদের মুখ। শুধু তাই নয়। সেই ছবি দেখিয়ে চাওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। আতঙ্কে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বারাসাতের স্কুলের শিক্ষিকা।  


বৃহস্পতিবার ঘটে এই ঘটনা । দুপুর নাগাদ বারাসাতে প্রধান শিক্ষিকার হোয়াটসঅ্যাপে কিছু অশ্লীল ছবি আসে।  সেই অশ্লীল ছবির বিনিময়ে টাকাও দাবি করা হয়। তিনি বুঝে যান ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে চলেছেন তিনি।  একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকে আসে এই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। ছবির সঙ্গে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। সেখানে প্রধান শিক্ষিকার কাছে হুমকি আসে। যদি টাকা না দেওয়া হয় তাহলে ছবিগুলি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। 


এই ঘটনার পর তিনি দেরি না করে বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। + 92 দিয়ে নম্বরটি শুরু। ধারণা করা হচ্ছে,  একটি পাকিস্তানি কোড নম্বর। তবে কি শিক্ষিকার কাছে whatsapp বার্তাগুলি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হয়েছে? পুলিশের ধারণা, যে পাঠিয়েছে মেসেজগুলি, সে শিক্ষিকাকে ভালভাবে চেনে। প্রশ্ন উঠছে, পাক ফোন নম্বর যার কাছে আছে, সে কীভাবে বারাসাতের প্রধান শিক্ষিকা সম্পর্কে এত ভাল জানে?                            


বারাসাত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন শিক্ষিকা।  তিনি জানান, এই অশ্লীল কাজকর্মের সঙ্গে যিনি যুক্ত তার কঠিন শাস্তি চান তিনি । এরকম ঘটনা যাতে অন্য কারো সঙ্গে না ঘটে তার জন্য খুব দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা । 


কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তারা কি পাকিস্তানের কেউ ? দ্রুত দোষীদের ধরার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।  


আরও পড়ুন : 


বঙ্গ জুড়ে দুর্যোগ, কলকাতায় আসছে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, কোন কোন জেলায় বিশেষ সতর্কতা? 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।