কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বেহাল রাস্তা নিয়ে বিভিন্ন সময় সরব হন বিরোধীরা।  রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ভয়াবহ অবস্থার কথা উঠে এসেছে সম্প্রতি।  এবার খোদ রাজ্যের মন্ত্রীকে বেকায়দায় পড়তে হল রাস্তার দুর্দশার কারণে ! আত্মীর বাড়ি পৌঁছতে বাধ্য হয়ে সরকারি গাড়ি ছেড়ে উঠতে হল টোটোয়। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান জেলার রায়নায়। খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মাণ্ডিকে গাড়ি থেকে নেমে টোটোতে চেপে যেতে হল আত্মীয়ের বাড়িতে।


রায়নার পলাশন পশ্চিম পাড়া এলাকায় মন্ত্রীর আত্মীয়র বাড়ি। সেখানে যেতে গেলে দুটি রাস্তা। দুটি রাস্তারই বেশ কিছু অংশের অবস্থা বেহাল। শুক্রবার সকালে রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মাণ্ডি রায়না পশ্চিম পাড়ায় মাসির বাড়িতে আসেন। বাড়ি ঢোকার প্রায় ২০০ মিটার আগে মন্ত্রীর গাড়ি দাড়িয়ে পড়ে। তারপর টোটো করে তাঁকে পৌছাতে হয় আত্মীয়ের বাড়িতে।

কী বললেন  মন্ত্রী 


গাড়ি দাঁড় করিয়ে টোটোতে কেন? জিজ্ঞাসা করাতে  জোৎস্না মাণ্ডি জানালেন, 'বৃষ্টিতে অর্ধেক রাস্তা বোঝা যাচ্ছিল না। কাদা না ঢালাই রাস্তা। টোটাল ব্য়াপারটা তো জানি না। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। অবশ্য়ই এসেছি যখন খোঁজ নেব। '


গ্রামবাসীদের অভিযোগ               

যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, 'দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ। বৃষ্টি হলেই আরও বেহালদশা হয়ে যায় রাস্তার। অ্যাম্বুলেন্স বা চার চাকা গাড়ি ঢুকতে চায় না। গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়া করে নিয়ে এসে চার চাকা গাড়িতে তুলতে হয়। নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোট আসে,ভোট যায় রাস্তা ঠিক হয় না।'


কী বলছে সিপিএম, বিজেপি

পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএম নেত্রী মনিকা কোঙার জানিয়েছেন, 'এখন তো আমি বসেছি। ৬ মাস। টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গেছে। দ্রুতই হয়ে যাবে। বৃষ্টির জন্য় আটকে। আগে তো তৃণমূল ছিল। সিপিএম তো ৬ মাস হল এসেছে। '   


বিজেপির স্থানীয় মুখপাত্র শান্তরূপ দে জানান, 'গোটা পশ্চিমবাংলার সর্বত্র এই অবস্থা। এখন ভিআইপি রোড যত্নে মোড়া। সব রাস্তাই খোড়া। উন্নয়নে ভেসে গেছে। ' 


খোদ মন্ত্রী সমস্য়ার শিকার, এখন দেখার গ্রামবাসীদের এই সমস্য়া মেটে কিনা।                                 


আরও পড়ুন : 


ভারতরত্ন সম্মান পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী