কলকাতা: কেন্দ্রীয় বকেয়া নিয়ে তরজা। বাংলাকে বঞ্চিত করার অভিযোগে বারবার কেন্দ্রকে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসক দল। এই আবহেই তথ্য বলছে অন্তর্বর্তী বাজেটে (Interim Budget) বাংলা একটু হলেও বেশি পাওনা পেয়েছে গত বছরের তুলনায়। 


২০২৪-২০২৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বাজেটে (Budget Allocation) বরাদ্দ হয়েছে ১৩৮১০ কোটি টাকা, এমনটাই জানিয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গত বছর বিভিন্ন প্রকল্পে যে বরাদ্দ হয়েছিল তার থেকে এ বার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বেশি। গতবারের অর্থ পরিমাণ ছিল ১১৯৭০ কোটি টাকা।


এই তথ্যটি তুলে ধরে UPA-জমানাকে নিশানা করেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ওই জমানার তুলনায় মোদি জমানায় বাংলার জন্য অনেক বেশি পরিমাণে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই প্রসঙ্গ তুলে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যের শাসককেও। বাংলায় রেলের উন্নতির জন্য রাজ্য় কোনওরকম সহযোগিতা করছে না বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। জমি-জটে আটকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর, নবদ্বীপ ধাম-নবদ্বীপ ঘাট রেল প্রকল্প। এসবের কারণে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।


রেল আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যখন কোনও প্রকল্পের জন্য় পদক্ষেপ নেওয়া হয় তখন তার জন্য বরাদ্দ হয়। সেই বরাদ্দ অনুযায়ী কাজও শুরু হয়। অনেকসময়েই জমি জটে বা কোনও রকম সমস্যায় কাজ থমকে গেলে যদি সেই প্রকল্প একবার গতি হারায় তাহলে সেখানে বরাদ্দও কমে আসে- খাতায়-কলমে থেকে যায় গোটা প্রকল্পই। ফলে রেলের যেমন কোনও লাভ হয় না, তেমনই সাধারণ মানুষও প্রকল্পের জন্য উপকৃত হন না। 
    
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গে রেল পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৯৮টি রেলস্টেশনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। গত এক দশকে একাধিক উড়ালপুল ও আন্ডারপাস তৈরি হয়েছে।


বাংলায় মেট্রো প্রকল্প (Metro Project in Bengal) নিয়েও কাজে গতি এসেছে। সব ঠিক থাকলে একাধিক মেট্রো লাইন চালু হতে পারে বলে সূত্রের খবর। গত বছর মেট্রো রেলওয়ে রেকর্ড বরাদ্দ পেয়েছিল। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও আলাদা করে বরাদ্দ পেয়েছিল।


লোকসভা ভোট আসন্ন। তার আগে এটা অন্তর্বর্তী বাজেট। গত লোকসভা ভোটে এই রাজ্য ঢেলে ভোট দিয়েছিল বিজেপিকে। এই বার রাজ্য থেকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে পদ্মশিবির নেতৃত্ব। তার আগে অন্তর্বর্তী বাজেটে এমন বরাদ্দ। কোনও যোগসূত্র রয়েছে কী?  


আরও পড়ুন:  শিলিগুড়ি জংশন থেকে যাত্রা ইলেকট্রিক লোকো প‍্যাসেঞ্জার ইঞ্জিনের