রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): বারুইপুরে অভিনব হাতসাফাই এর ঘটনায়  ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা খোয়া গেল প্রাক্তন স্বাস্থ্য আধিকারিকের।  


অভিনব কেপ মারির ঘটনা ঘটলো বারুইপুরে। বারুইপুর মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষুদিরামপল্লীর বছর ৬৭-এর বাসিন্দা প্রাক্তন স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার মন্ডল বুধবার সকালে হরিহরপুরে অবস্থিত সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন টাকা তুলতে। ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা তুলে তিনি যখন সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন, সেইসময় মল্লিকপুর বাজারের কাছে তার সাইকেলের পিছনের চাকায় কিছু একটা জড়িয়ে যায়।


তিনি সাইকেল থেকে নেমে দেখেন পিছনের চাকায় একটা লম্বা দড়ি আটকে গিয়েছে। সেই দড়িটি ছাড়ানোর চেষ্টা করেন প্রায় মিনিট চারেক ধরে। এরপর সাইকেলের পিছনের চাকা থেকে দড়ি ছাড়িয়ে উঠে দেখেন তাঁর বাজারের ব্যাগের মধ্যে থাকা এক লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার টাকা ও সঙ্গে থাকা দুটি ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্কের পাসবুক উধাও। 


আরও পড়ুন, 'ওরা বাঘ হলে আমি বুনো ওল, আমি কী এতই বোকা?, বললেন মমতা


মনে করা হচ্ছে সাইকেলের পিছনের চাকায় দড়ি জড়িয়ে দিয়ে অভিনব কায়দায় টাকার ব্যাগটি সরিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতী। বারুইপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যকর্মী প্রণব কুমার মন্ডল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বারইপুর থানার পুলিশ। তারা এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।


অন্যদিকে, ব্যাঙ্ক মানেজারের পরিচয় দিয়ে সরাসরি ওটিপি না জানতে চাওয়া হলেও কায়দা করে চার সংখ্যার ওটিপি নম্বর জেনে এক বৃদ্ধের অ্য়াকাউন্ট থেকে প্রায় ৯৮ হাজার টাকা তুলে নিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর।


সূত্রের খবর, এদিন দত্তপুকুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের কাছে একটি ফোন আসে। এবার কৌশলে বৃদ্ধের থেকে ওটিপি জেনে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে ওই বৃদ্ধকে দুষ্কৃতীরা সরাসরি ওটিপি দিতে বলা হয়নি। বরং তাঁকে দুষ্কৃতীরা বলে যে, তারা নতুন একটি ওটিপি নম্বর দিচ্ছে। বৃদ্ধের ফোনে যে ওটিপি নম্বর গিয়েছে তার সঙ্গে নতুন চার সংখ্যার ওটিপি নম্বর যোগ করে জানাতে। বৃদ্ধ দুষ্কৃতীর সেই কথায় বিশ্বাস করে ওটিপি নম্বর বলে দিতেই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় আটানব্বই হাজার টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনাটা খতিয়ে দেখছে।