পার্থপ্রতিম ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বারুইপুরে (Baruipur) হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা-হত্যার ঘটনা দেখেই খুন করে প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহ লোপাটের ছক কষা হয়। 


জানা যায়, মাকে সঙ্গে নিয়েই শৌচাগারে বাবার দেহ টুকরো করে ছেলে। করাত দিয়ে ৬ টুকরো করা হয় দেহ। তিনবারে সরানো হয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ। প্রথমবার মাকে নিয়ে সাইকেলে চাপিয়ে দেহাংশ পুকুরে ফেলে আসে ছেলে। পরে আরও দু’ বার একাই সাইকেলে দেহাংশ নিয়ে ফেলে আসে ছেলে জয়, খবর সূত্রের। মাথা থেকে পেট ও পায়ের অংশ উদ্ধার হলেও এখনও মেলেনি প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর হাত ও কোমরের অংশ।                              


এরপর খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


বৃহস্পতিবার বারুইপুরের মল্লিকপুরে, পুকুর থেকে উদ্ধার হয় ৫৫ বছরের উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহাংশ। মাথা থেকে পেট পর্যন্ত মোড়া ছিল প্লাস্টিকে। ছিল না দুই হাত, কাটা ছিল কোমরের নীচ থেকে। এরকম নারকীয় ঘটনা সামনে না আসা পর্যন্ত কিছুই বুঝতে দেয়নি মা ও ছেলে। বাবাকে নিয়ে বলতে গিয়ে ছেলের চোখে জলও চলে এসেছিল।                                                                  


আরও পড়ুন, 'দেশে শক্তিশালী নেতা না থাকলে, শহরে শহরে আফতাব তৈরি হবে', ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য হিমন্ত বিশ্বশর্মার


পুলিশ সূত্রে দাবি, বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে পলিটেকনিকের ছাত্র। সে জানায়, সোমবার বাবার সঙ্গে কলেজ ফি নিয়ে বচসা বাধে। বাবা মারধর করা শুরু করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর গলা টিপে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় গৃহকর্তাকে।                           


বারুইপুর পুলিশের এসপি বলেন, "ওনার আচরণ খারাপ ছিল। নেশা করে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স করতেন। ২৫ বছরের ছেলেও আক্রান্ত হতেন। পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ১৪ তারিখ পরিবারের মধ্যে অশান্তি। বাবা ছেলের উপর হাত ধরে, ছেলে পাল্টা দিতে গিয়ে। মাকে মারতে গিয়ে ছেলে...স্ট্রাঙ্গুলেট করল, ভাবতে পারেনি বাবা মারা গেছে। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ও নেশা করা যে সমাজের জন্য কতটা ক্ষতিকর, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।"                         


ধৃতদের জেরা করে পুলিশের দাবি, ‘গার্হস্থ্য হিংসা’র করুণ পরিণতি এই হত্যাকাণ্ড।