কলকাতা: রাতে বাড়ির ফেরার জন্য বেরিয়েও আর ফেরা হল না। বাসন্তী হাইওয়েতে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের এর ASI-এর। কর্মরত ওই অফিসারের নাম শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস।

Continues below advertisement

ওই পুলিশ আধিকারিক ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি অফিসে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটি শেষ করে বাইকে করে ফিরছিলেন তিনি। বৈরামপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক ধাক্কা মারে ASI-এর বাইকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ আধিকারিকের। ঘটনার পর ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পলাতক।

শহরে পর পর দুর্ঘটনা

Continues below advertisement

গত পরশু ইএম বাইপাসে সাতসকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল এক বাইক আরোহীর। মৃতের নাম অলকেশ হালদার (২৫)। পুলিশসূত্রে খবর, দুরন্ত গতিতে বাইক নিয়ে ইএম বাইপাসের ঢালাই ব্রিজ থেকে রুবির দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ধাক্কা মারলে মৃত্যু হয় বাইক আরোহীর। পুলিশসূত্রে খবর, মাথায় হেলমেট ছিল না ওই বাইক আরোহীর।

এর আগে সাতসকালে মানিকতলার কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বেঙ্গল কেমিক্যাল মোড়ে সকুল ছাত্রকে পিষে দিল লরি। স্থানীয় সূত্রে খবর,বাবার বাইকে চেপে সকুলে যাচ্ছিল বছর বারোর ওই কিশোর। সেই সময় পিছন থেকে একটি লরি বাইকে ধাক্কা মারলে রাস্তায় ছিটকে পড়ে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল সকুলের ওই ছাত্র। তখনই তাঁকে পিষে দেয় লরিটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতালে। লরির চালককে পাকড়াও করে ফুলবাগান থানার হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে লরিটিকে।

সল্টলেকের ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটে বেশ কিছুদিন আগে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা নাগাদ নিউটাউন থেকে আসার পথে সল্টলেকের একটি ব্রিজের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা বাইকের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম বাইকের চালক ও আরোহীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চালক নেহাল বর্মা (৩০) কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরোহী।                     

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে, গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই কিশোরের। নাম দেবকুমার সরকার ও সাগর সরকার। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ব্যাডমিন্টন খেলতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই দুই কিশোর। সোনারপুরের ঘাসিয়াড়ার কাছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে একটি লাইট পোস্টে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। এরপর সোজা রাস্তার পাশের দোকানে ঢুকে প়ড়ে। সেইসময়, দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ওই দুই কিশোর। সংঘর্ষের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। অন্যদিকে, গুরুতর জখম অবস্থায় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গাড়ির চালক। পুলিশের দাবি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি।