কলকাতা: রাতভর অবস্থানের পর বাঁশদ্রোণী থানা থেকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে (Rupa Ganguly Arrest)। অভিযোগ, পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। বিজেপি কর্মীদের দাবি, গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে।
গ্রেফতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়: মহালয়ার সকালে পে লোডারের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু ঘিরে গতকাল সকাল থেকে রাত, দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণীর দীনেশ নগর। পুলিশকে আটকে রেখে স্থানীয়দের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কেন গ্রেফতার নয় ঘাতক পে লোডারের চালক? এই প্রশ্ন তুলে বাঁশদ্রোণী থানায় রাতভর অবস্থানে বসেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। পুলিশকে বাঁচাতে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী পথে নেমেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। টানা ১৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেত্রীকে। এদিন সকালেই রূপাকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
পথদুর্ঘটনায় নবম শ্রণির পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাঁশদ্রোণী। সকাল থেকে সন্ধে অবধি চলে উত্তেজনা। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ বাঁশদ্রোণীর দীনেশনগরে কোচিংয়ের সামনে সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল নবম শ্রেণির পড়ুয়া। আচমকা একটি পে লোডার পিষে দেয় ছাত্রকে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ১৫ বছরের কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। ঘাতক পেলোডারে উঠে চলে ভাঙচুর। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরেও চলে তুমুল বিক্ষোভ। পাটুলি থানার ওসি-কে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন স্থানীয়রা। তাঁকে কাদাজলে নামিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তুমুল ধস্তাধস্তি।
বাঁশদ্রোণীর দীনেশনগর এলাকা কলকাতা পুর-এলাকার একেবারে শেষপ্রান্তে। ওই এলাকার বাকি অংশ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার অন্তর্গত। কলকাতা পুরসভার KEIIP-র তত্ত্বাবধানে ওই এলাকায় নিকাশির কাজ চলছিল। কলকাতা পুরসভার অধীনেই এক ঠিকাদার সংস্থা রাস্তা মেরামত করছিল। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা। পে লোডারের চালকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Junior Doctors Protest: পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তররা, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশিষ্টরা?